Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন। আজকের ভারতবর্ষে এই আইনে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন পূর্ববঙ্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা। প্রকৃত অর্থে এই আইন বহুদিন ধরে চলে আসা উদ্বাস্তু আন্দোলনের সবক’টি দাবিকেই পূরণ করবে। পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আসা হতভাগ্য মানুষগুলি স্বাধীনতার এত বছর পরে স্বস্তি পাবেন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বাংলা। সে যুগে সারা ভারতবর্ষ থেকে মানুষ এই বাংলায় আসতেন দেশপ্রেমের পাঠ নিতে। অগ্নিযুগের সেই দাবানল কলকাতা থেকে ঢাকা, মেদিনীপুর থেকে চট্টগ্রাম, হুগলি থেকে বরিশাল কিংবা ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় সমানভাবে ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পূর্ববঙ্গের বিপ্লবীদেরও অর্জিত ধন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, বাঘাযতীন বা মাস্টারদা সূর্য সেনের মতো শত শত বিপ্লবীর জন্মস্থানের যে মানুষ নিজের ধর্মরক্ষার জন্য অত্যাচারিত হচ্ছেন তাঁরা ভারতবর্ষের সম্মানজনক নাগরিকত্ব পাবেন না?
দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গেই সকলে এদেশে চলে আসেননি। সাম্প্রদায়িক অত্যাচার এত বীভৎস রূপ নেবে তা অনেকেই বোঝেননি। পূর্ববঙ্গের প্রতি ছিল তাঁদের গভীর নাড়ির যোগ। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা আশাবাদী ছিলেন। উল্লাসকর দত্ত আলিপুর বোমার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর দ্বীপান্তর হয়েছিল, আন্দামানে সেলুলার জেলে বহুদিন ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় নিজের গ্রাম কালিকাড়াতে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেশিদিন থাকতে পারেননি। তেমনই রাজশাহিতে কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন বামপন্থী নেত্রী ইলা মিত্র। তাঁর উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার হয়, ১৯৫৪ সালে তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য হন।
হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত পার হয়ে এদেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা কেউ অর্থনৈতিক কারণে ভারতবর্ষে আসেননি। দশকের পর দশক ধরে হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার হয়েছে। মেয়ের সামনে মা ধর্ষিতা হয়েছেন, মায়ের সামনে মেয়েকে, কোথাও বা বাড়ির দুর্গামণ্ডপে তিন প্রজন্মকে গণধর্ষিতা হতে হয়েছে। ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল নতুন দিল্লিতে নেহরু-লিয়াকত চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল দুই দেশ তাদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে। কিন্তু পাকিস্তান পূর্ববঙ্গে এই চুক্তি রক্ষার কোনও চেষ্টা করেনি। ভারত সরকারও এই ভীষণ অত্যাচারকে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে অক্ষম হয়েছে। তাই লাগাতার অত্যাচার হয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাংলাভাষী মানুষদের উপর। তাই অবিরত অত্যাচারিত জনপ্রবাহ ভারতবর্ষে শরণ নিয়েছে। ভারতবর্ষ ছাড়া এই হতভাগ্য হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুদের তো যাওয়ার আর কোনও জায়গা নেই। ওপার বাংলায় তাঁদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের কোনও অভাব ছিল না। তাঁরা ধর্ম পরিবর্তন করে ওপারে থাকতেই পারতেন। কিন্তু তা না করে তাঁরা ধর্ষিতা মেয়ের মুখ চেপে ধরে, গৃহস্থালির যেটুকু সামগ্রী হাতের কাছে পেয়েছেন তা পুঁটলিতে বেঁধে, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে এসেছেন। যে মানুষটা নিজের চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের খুন হতে দেখে নিজের প্রাণটুকু নিয়ে কোনও মতে সীমান্ত পার হয়ে এসেছেন, সেই সর্বস্বান্ত ভাগ্যহতটিও পরের দিন বনগাঁতে তাঁর কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে প্রিয়জনদের শ্রাদ্ধ করার আগে স্নান মন্ত্রে বলেছেন, ‘‘গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী।’’ এত কষ্টের মধ্যেও যাঁরা গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কাবেরীকে ভোলেননি, ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ত্যাগ করবেন না বলেই যাঁরা চোদ্দো পুরুষের ভিটে ত্যাগ করলেন, ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব তো তাঁদের জন্মগত উত্তরাধিকার। সমগ্র বাংলাকেই পাকিস্তানে নিতে চেয়েছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না। ১৯৪৬ সালে ১৬ আগস্ট শহিদ মিনার ময়দানে সভা করে সোহরাওয়ার্দি সাহেব হিন্দুদের বিরুদ্ধে ডায়রেক্ট অ্যাকশনের ডাক দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতি ছিল ‘‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং।’’ ঠিক এক বছর পরেই ওই সোহরাওয়ার্দি সাহেব অখণ্ড বাংলাকে ভারত ও পাকিস্তানের থেকে আলাদা করে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের কথা বললেন। কলকাতার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে সমর্থনও করেছিলেন। তাঁরা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন যে ভারতবর্ষে না থাকলে বাংলার না থাকবে শ্রী, থাকবে না অসাম্প্রদায়িক চরিত্রও।
সেদিন বাংলার আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে ধর্মীয় অত্যাচারের কথা ভেবেই ‘‘বেঙ্গলী হিন্দু হোমল্যান্ড মুভমেন্ট’’ শুরু করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেই ঐতিহাসিক সময়ে নিজেদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে ড. মুখোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা, সুচেতা কৃপালিনীর মতো অনেক দেশবরেণ্য প্রবুদ্ধজন। এই শুভশক্তির অক্লান্ত প্রয়াসে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় বিধানসভা ভেঙে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গ বিধানসভা গঠিত হল। তাই ঐতিহাসিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের জন্মই হয়েছিল, পূর্ববঙ্গ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা প্রতিটি হিন্দুর স্থায়ী শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য।
১৯৪৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তানে যেসব হিন্দু আর শিখ আছেন, তাঁরা ভারতে আসতেই পারেন। সেক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রথম কর্তব্য তাদের হাতে কাজ দেওয়া আর হতভাগ্যদের জীবনে একটু স্বচ্ছন্দ প্রদান করা।’’ কিন্তু মহাত্মা গান্ধী এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণের পরে পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুদের কথা আর কেউ হৃদয় দিয়ে ভাবেননি।
ছিন্নমূল মানুষ দণ্ডকারণ্য থেকে আন্দামান, মানা ক্যাম্প থেকে ওড়িশার কান্দামালে ছুটে বেড়িয়েছেন একটু আশ্রয়ের সন্ধানে। প্রায় পশুর মতো জীবনযাপন করতে হয়েছে। এক উদ্বাস্তু শিবির থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে অন্য শিবিরে খোলা ট্রাকে করে তাঁদের আনা হতো। পুরুষ, মহিলা থেকে অসুস্থ শিশু সকলের জন্য এক ব্যবস্থা। মানা ক্যাম্পে মৃতদেহ স্তূপ করে পোড়ানো হতো। এত কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুরা জোর করে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন। বসতি স্থাপন করেছিলেন সুন্দরবনের মরিচঝাঁপিতে। ১৯৭৯ সালের ২৪ জানুয়ারি রাজ্যের পুলিস শত শত নিরস্ত্র, অসহায় উদ্বাস্তুকে গুলি করে হত্যা করেছিল। তারপর সেখান থেকে তফসিলি জাতিভুক্ত উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। উদ্বাস্তুরা সেদিন বুঝেছিলেন, কেউ কথা রাখেনি। কেউ কথা রাখে না।
এই প্রথম ভারত সরকার কথা রাখলেন। কথা দিয়েছিলেন গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে। কথা ছিল সব অত্যাচারিত মানুষ ভারতে এলে নাগরিকত্ব পাবেন। প্রশ্ন হল কতদিন পর্যন্ত পাবেন? সহজ উত্তর, যতদিন না সীমান্তের ওপারে বাঙালি হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার বন্ধ হবে। ১৯৬৪ সালে ১৬ জানুয়ারি ঢাকার নেটরডাম কলেজের অধ্যাপক ফাদার রিচার্ড নোভক নারায়ণগঞ্জে হিন্দুদের গণহত্যার খবর নিতে গিয়ে মৌলবাদীদের হাতে খুন হলেন। তার মানে ১৯৬৪ সালেও ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রয়োজন ছিল। ১৯৭১ সালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনসোল জেনারেল হিন্দু হত্যার বর্ণনা দিয়ে তাঁর শিহরন জাগানো ‘‘ব্লাড টেলিগ্রাম’’ পাঠিয়েছিলেন। যার অর্থ ১৯৭১ সালেও প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রয়োজন ছিল। আবার ২০০১ সালে ১৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের ১৩ বছরের পূর্ণিমা শীলের উপর অত্যাচারের দিন বা ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ মুহুরীর নির্মম হত্যার ঘটনায় আবার মনে হয়েছে ভারতের দায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যায়নি। ২০০১ সালে এমনই শত শত ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ‘‘বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের’’ মতো অনেক সংগঠন। তাই অত্যাচারিত উদ্বাস্তুর জন্য ভারতের দায়বদ্ধতা ২০০১ সালেও ছিল। সঠিক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি বলেই তো উদ্বাস্তুদের পরিচয় লুকোতে হয়। অসাধু পুলিস কর্মীর সহজ শিকার হতে হয় অসহায় ভাগ্যহত মানুষদের।
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দেশভাগের পরে গভর্নর জেনারেল অব ইন্ডিয়ার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন মাত্র। নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়া সাম্প্রদায়িকতা নয়, মানবিকতা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯-এর প্রস্তাবনা অভূতপূর্ব কিছু নয়, স্বাভাবিক মানবিক প্রয়াস। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ের নিয়ামক সংস্থার নাম ‘‘ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজিস’’ (UNHCR)। ১৯৫১ সালের জেনেভা কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের উরুগুয়ে প্রোটোকল অনুসারে ইউএনএইচসিআর উদ্বাস্তুর সংজ্ঞা নিরূপণ করেছে। সেই সংজ্ঞা হিসাবে, ‘‘জাতি, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় পরিচয়, রাজনৈতিক অভিমত বা কোনও সামাজিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়ে কোনও ব্যক্তি যদি নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন তবে তিনি দ্বিতীয় দেশে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী।’’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার কথাই বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তো চোখের সামনেই দেশভাগের করুণ পরিণাম দেখেছেন। অত্যাচারিত বাঙালি হিন্দুর প্রাপ্য নাগরিকত্বের সঙ্গে অন্য কোনও বিষয় বা শর্ত যোগ করাটা কেবল ভুলই নয়, মহাপাপ হবে। এতগুলো বছর সীমান্তের ওপারে থাকা মানুষেরা তো বাংলা ভাষাতেই আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন। এঁদের দুঃখ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ না বুঝলে দেশের আর কে বুঝবে? কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা ক্ষুদ্র বাণিজ্যিক স্বার্থে বাঙালি বাঙালির সঙ্গে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ আজ অনেক বেশি সচেতন।
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় শর্তে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস চালানোর জন্য দ্বিতীয়বার টেন্ডার ডেকেও তেমন সাড়া মিলল না। রাজ্যের নানা জায়গায় চালাতে ১৫০টি ইলেকট্রিক বাসের জন্য ...

  মেলবোর্ন, ৭ ডিসেম্বর: বিপজ্জনক আচরণ করছিল পিচ। আর সেই কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যশালী মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভিক্টোরিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভিক্টোরিয়া। ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: পুরসভার ওয়ার্ডের কাজের জন্যে বরাদ্দ হয়েছিল ২৮ জন শ্রমিক। কিন্তু, বাস্তবে অনুসন্ধান করে পাওয়া গেল ৪ জন! খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই পরিস্থিতি ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: শনিবার দুপুরে চাকুলিয়া থানার শিকারপুরে পাটবোঝাই একটি চলন্ত ট্রাক্টরে হঠাৎ আগুন লেগে প্রায় তিন লক্ষ টাকার পাট ভস্মীভূত হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাকুলিয়া হাট থেকে এক ব্যবসায়ী পাট কিনে ট্রাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে বিহারের কিষাণগঞ্জে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৫- অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর জন্ম
১৯৭১- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় করাচি বন্দরে হানা দিল ভারতীয় নৌবাহিনী
১৯৭৪- গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসে রাজতন্ত্রের অবসান
১৯৮০- নিউইয়র্কে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ভক্তের হাতে খুন হলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ পপ গায়ক জন লেনন
১৯৯১- রাশিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠন করলেন
২০০৯- বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ১২৭ এবং আহত ৪৪৮ জন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৬৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৫/৫৩ দিবা ৮/৩০। অশ্বিনী ৫৩/২৫ রাত্রি ৩/৩০। সূ উ ৬/৮/১৩, অ ৪/৪৮/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ২/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ১/৪২ মধ্যে পুনঃ ২/৩৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে।
২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, একাদশী ৩/১৫/৫২ দিবা ৭/২৭/৫৯। অশ্বিনী ৫৩/১০/৩০ রাত্রি ৩/২৫/৫০, সূ উ ৬/৯/৩৮, অ ৪/৪৮/৪৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৩ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৫০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৬/১০ মধ্যে, কালবেলা ১১/২৯/১৪ গতে ১২/৪৯/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৯/২০ গতে ২/৪৯/২৭ মধ্যে।
১০ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের অবসান। মিথুন: স্বকীয়তা বজায় রেখে ...বিশদ

07:11:04 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতল

10:32:44 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩/১ (১০ ওভার) 

09:47:37 PM

দ্বিতীয় টি২০: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

08:47:23 PM

কোচবিহারে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম ২ 
কোচবিহারে ফের বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। বোমার ঘায়ে জখম দুই তৃণমূল সমর্থক। ...বিশদ

08:23:24 PM

দ্বিতীয় টি২০: ভারত ১৩২/৪ (১৫ ওভার) 

08:19:18 PM