শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, পাচারকারীদের নাম সুশান্ত রায় ও রিপন সরকার। তাদের বাড়ি কোচবিহারের নিশিগঞ্জে। বিলাসবহুল গাড়ি করে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হলে প্রথমে জানায় তারা দার্জিলিং বেড়াতে যাচ্ছে। পুলিসের তাতে সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালায় তখন গাড়ি থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার বিরোধী আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। শুক্রবার প্রায় কোটি টাকার আফিম ও ব্রাউন সুগার উদ্ধারের পর ফের আজ গোশলা মোড়ে বড় সাফল্য পেল পুলিস। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, গাঁজা পাচারের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তারা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাচ্ছে বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
দামী গাড়ি করে কেদারদুরস্থ পোশাক পরেই গাঁজা পাচারের খবর ছিল পুলিসের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোশালা মোড়ে অপেক্ষায় ছিল পুলিস। সেইমতো বিলাসবহুল গাড়ি দেখে পুলিস সেটি দাঁড় করায়। গাড়ির সওয়ারি এক ব্যক্তিকে নিজেকে পর্যটক বলে দাবি করলেও তল্লাশিতে বিলাসবহুল গাড়ির ডিকি থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়। প্লাস্টিকের বস্তায় মুড়ে গাঁজাগুলি রাখা হয়েছিল। ঘটনায় গাড়ির চালক সুশান্ত রায় সহ রিপন সরকার নামে ওই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিস। গাঁজাগুলি শিলিগুড়িতে পাচারের চেষ্টা করছিল।
শুক্রবার গোশালা মোড়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ আফিম ও ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে পুলিস। অসমের গুয়াহাটি থেকে ট্রাকে করে নিষিদ্ধ মাদকগুলি রাজস্থানে পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করে গোশালা মোড় থেকে ট্রাকটি আটক করে কোতোয়ালি থানা। জাতীয় সড়কে যানযটের সুযোগে ট্রাক ড্রাইভার পালিয়ে যায়। ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৫২ কেজি আফিম পাওয়া যায়। আরওও দু’টি পৃথক ব্যাগে এক কেজি করে ব্রাউন সুগারও তাতে পাওয়া যায়। ট্রাকের হুডের মধ্যে লুকিয়ে ব্রাউন সুগার সহ আফিম পাচার করা হচ্ছিল।
সম্প্রতি জাতীয় সড়ককে ট্রানজিট রুট বানিয়ে গাঁজা, আফিম, ইয়াবা, ব্রাউন সুগার পাচারের জোর অভিযোগ আসছিল। শীতের সুযোগ নিয়ে পাচার হচ্ছিল মাদক দ্রব্যগুলি। খবর মিলতেই জাতীয় সড়কজুড়ে কড়া পুলিসি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পুলিসি টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে। তারপরই শুক্রবার ও শনিবার পরপর দু’দিন গোশালা মোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য পেল কোতোয়ালি থানার পুলিস।