কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
নারদ কাণ্ডের জেরে সম্প্রতি সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের পদস্থ পুলিস আধিকারিক এস এম এইচ মির্জাকে। সারদা মামলায় সিবিআই হন্যে হয়ে খুঁজলেও রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমার বেপাত্তা। একদা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষকর্তা বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব পাওয়ার পর এনিয়ে চলতি বিতর্কের মধ্যেই এদিন শহরে এসেছিলেন অমিত শাহ। স্বভাবতই, তাঁর ভাষণ সম্পর্কে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সারদা, নারদ বা রোজভ্যালি নিয়ে অমিত শাহ বস্তুত মুখ না খোলায় কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিরোধী মহলে। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের পরেই তাঁরা ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ গট আপ গেমের কথা বলেছিলেন। তাঁর দাবি, রাজধানীতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই অমিত শাহের সভা থেকে গোটা সফরের ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। সেলিমের দাবি, এনআরসি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে যাওয়ায় তাঁদের দলের কর্মীদের পুলিস আগাম আটক করেছে। তিনি বলেন, বিজেপির বিভাজনের অ্যাজেন্ডা পূরণ করতে পরোক্ষে অমিত শাহদের সাহায্য করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে বা রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আব্দুল মান্নানও এদিন রাজীব কুমার প্রসঙ্গ ও অমিত শাহের চিটফান্ড নিয়ে মুখ না খোলাকে এক বিন্দুতে মিলিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুরোটাই তৃণমূল-বিজেপির বোঝাপড়া। তাই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত মানুষের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিভাজনের উস্কানি দিতে শহরে এসেছিলেন অমিত শাহ। মান্নান মনে করেন, কোনও মতেই চিটফান্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চায় না বিজেপি। সিবিআইকে তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে অমিত শাহের মঞ্চে মুকুল রায়ের উপস্থিতি দেখেই। তাঁর মতে, এই দৃশ্যই বুঝিয়ে দিল সিবিআইয়ের জেরা আসলে লোক দেখানো। তাই এক ডজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মিলে রাজীব কুমারকে খুঁজে পায়নি। বাকি অভিযুক্তরা প্রায় সাড়ে ছ’বছর বাদেও অধরা রয়ে গিয়েছে।