কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
তবে পরীক্ষা যে এগতে পারে, তার আভাস মিলেছিল আগেই। কারণ, যে প্রক্রিয়া নভেম্বর-ডিসেম্বরে শুরু হতো, তা পুজোর আগেই সেরে ফেলেছে বোর্ড। তা হল, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী যোগ্যতামান হবে, তা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো প্রতিষ্ঠানগুলি তা পাঠিয়ে দিয়েছে। যাতে বিপুল আসন খালি না থাকে, তার জন্যই এমন বেনজির পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে সেই রিভিউ বৈঠকে বছরের পর বছর বিপুল সংখ্যক আসন খালি থাকার প্রসঙ্গে তাঁর উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই সমস্যা মেটাতে তাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আগেই জয়েন্ট পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিং শেষ করার ভাবনা ছিল তাঁর। বিষয়টি জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহাকে দেখার জন্যও বলেছিলেন পার্থবাবু। তবে কী করে তা হবে, তা নিয়ে সেই বৈঠকে কেউ মুখ না খুললেও, ভিতরে ভিতরে পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় বোর্ড। অনেকে বলছেন, সেদিন পার্থবাবুর আবেদনকে নির্দেশ হিসেবেই দেখেছেন বোর্ড কর্তারা।
এদিন উচ্চশিক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকে জয়েন্ট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হয়। কেন এত আগে করা হচ্ছে, তা নিয়ে মন্ত্রী কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বলেন, আসন খালি থেকে যাচ্ছে প্রতি বছর। তাই পরীক্ষামূলকভাবে গোটা ব্যবস্থাকে এগিয়ে আনা হল। উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই জয়েন্টের ফল প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু এতটা এগনোর ফলে পড়ুয়াদের উপর কি বাড়তি চাপ পড়বে না? চেয়ারম্যানের যুক্তি, জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় জয়েন্ট পরীক্ষা হয়। তার প্রস্তুতি থাকলে, এই পরীক্ষা দিতে অসুবিধা কোথায়?