কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
কয়েক মাস আগে বিভিন্ন সেন্টারের তরফে অভিযোগ করা হয়, পরীক্ষা নিয়ামক টাকার বিনিময়ে ফলপ্রকাশ করেছেন। কোর্স চালানোর জন্যও টাকা নিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে ক্যাম্পাসে। চাপে পড়ে কর্তৃপক্ষ সাত্যকীবাবুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায়। অভিযোগের তদন্ত করতে গঠন করা হয় কমিটি। তাতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রাখা হয়। সেই কমিটি তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তা পেশ করা হয়। তবে তিনি কবে থেকে যোগদান করবেন, তা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ামক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে ফিনান্স অফিসার তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এবং যিনি মূল অভিযোগ করেছিলেন, অবসরের পর তাঁকে সেন্টার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তের পর কমিটির পর্যবেক্ষণ, টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা নেওয়া ও ফলপ্রকাশের অভিযোগটি প্রমাণিত হয়নি। কারণ তার সমর্থনে যথাযথ প্রমাণ মেলেনি। তবে পরীক্ষা নিয়ামকের বিভাগের এক কর্মীকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তার কিন্তু সাত্যকীবাবু এড়াতে পারেন না। তাছাড়া পরীক্ষা নিয়ামকের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রামাণ্য তথ্য না মেলায় তা প্রমাণ করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সাত্যকীবাবুকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে এই বিভাগ যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই।
সাত্যকীবাবু ছুটিতে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে অস্থায়ীভাবে বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। কিন্তু তার ফলে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। সময়ে ফল প্রকাশ থেকে পরীক্ষা নেওয়া—সব নিয়েই বেশ জটিলতা তৈরি হয়। যা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। এদিকে, আসন্ন সমাবর্তনে কবি শঙ্খ ঘোষকে ডিলিট দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞানী সি এন আর রাও এবং আইএসআই-এর অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিএসসি দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদিনের ইসি’তে সেই নামগুলি পেশ করা হয়। এবার সেই নামগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টে পাশ করিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এদিকে, এদিনের ইসি’তে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা হল, আগামীতে আর কোনও গবেষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে রাখা হবে না। তাঁরা ক্লাস নিতে পারবেন, কিন্তু তার বাইরে কিছু করতে পারবেন না। অতিথি শিক্ষকের নিয়োগপত্রও দেওয়া হবে না। মাস কমিউনিকেশন বিভাগে এই নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছিল।