সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর-এর অধীনে বেলেঘাটায় আইডি হাসপাতালের নাইসেড চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল ন্যাশনাল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হাব বা ‘এএমআর হাব’-এর। মুড়ি-মিছরির মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিপদের জন্য ক্রমবর্ধমান বিধ্বংসী ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধে জাতীয় কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, এই ধরনের বিধ্বংসী ‘সুপারবাগ’-এর জাতীয় রিপোসিটরি বা কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের এদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাঃ ভার্গব। এই উপলক্ষে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের চাঁদের হাট বসেছিল। এসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ভারতের প্রধান ডাঃ হেনরিক জান বেকেদাম, ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেনেথ আই জাস্টার, নাইসেড অধিকর্তা ডাঃ শান্তা দত্ত সহ অনেকেই। কতটা গুরুত্বপূর্ণ যে এই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ইস্যু, তা বোঝা গেল যখন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে আইসিএমআর ডিজি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য গবেষণা মন্ত্রকের সচিব ডাঃ ভার্গব স্পষ্ট বললেন, একসময়ের প্রাণদায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের জন্য আমরা এখন ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার মতো ‘রাক্ষস’-এর কবলে পড়েছি।
ডাঃ ভার্গব বলেন, সারা দেশের অত্যাধুনিক চিকিৎসা গবেষণার জন্য ১২টি বায়োসেফটি থ্রি (বিএসএল-৩) পর্যায়ের গবেষণাগার রয়েছে। এর থেকেও আধুনিক পর্যায়ের (বিএসএল-৪) পর্যায়ের গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে শুধুমাত্র পুনের এনআইভি। এছাড়াও নাগপুরে আরও একটি বিএসএল-৪ পর্যায়ের গবেষণাকেন্দ্র হতে চলেছে। এজন্য মহারাষ্ট্র সরকার তাদের জমি দিয়েছে বলেও জানান ডাঃ ভার্গব। সেই গবেষণাগারে বর্তমানে পৃথিবীর চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় জুনোটিক ডিজিজ বা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত অসুখবিসুখ নিয়ে গবেষণা হবে। এই প্রকল্পেরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান হেলথ’। ডাঃ ভার্গব বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ফাইটো ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে গবেষণা করা। কারণ, বহু মানুষই নানা রোগের চিকিৎসা নিয়ে দাবি করছেন, তাঁদের কাছে নাকি সে রোগের মোক্ষম ওষুধ রয়েছে। আমরা কারও দাবিই উড়িয়ে দিচ্ছি না যেমন, তেমনই এটাও জানিয়ে দিচ্ছি যে, রোগ সারানোর চারটি মৌলিক উপাদান তাঁদের ওষুধে থাকলে তবেই আমরা গুরুত্ব দেব। ডেঙ্গু ভাইরাসের মোকাবিলায় টিকা তৈরির জন্য গবেষণা চলছে বলেও জানান তিনি। বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোথায়, কতটা তা নিয়ে এই প্রথম এক ধরনের জাতীয় ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ করেছে আইসিএমআর।