সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা বলেন, হামলার কোনও অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
রায়গঞ্জ শহরের বিননগর এলাকার চার-পাঁচটি বাড়িতে ও ঠেকে চোলাই মদ, হেরোইন, গাঁজা, নেশার ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন সহ নানা নেশার সামগ্রী বিক্রি হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় নাবালক থেকে যুবকরা ওই কারবারিদের খপ্পড়ে পড়ে নেশায় আসক্ত হচ্ছে। পেশায় টাইলস মিস্ত্রি পশ্চিম বিননগর এলাকার বাসিন্দা দীপক রায় চার দিন আগে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ওই নেশার কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হন। রবিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন, আমি অন্ধ্রপ্রদেশে বেশিরভাগ সময় পেশার তাগিদে থাকি। কিছুদিন বাড়িতে আছি। ক’দিন ধরে লক্ষ্য করছিলাম ছোট ছোট ছেলেরাও মদ গাঁজা সহ নানা ধরনের নেশা করছে। পাড়ারই কয়েকজন সেই কারবার চালাচ্ছে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে ওই কারবার বন্ধ করার জন্য বলেছিলাম। শনিবার রাতে এক বন্ধুর বাড়িতে পুজোর প্রসাদ খেয়ে ফিরছিলাম। বাড়ির কাছেই কয়েকজন আমার পথ আটকায়। তারা আমাকে বলে খুব প্রতিবাদী হয়েছিস। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওরা কোপাতে থাকে। আমি চিৎকার করলে গলা টিপে ধরে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। সেসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি মদের কারবারিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ও তাদের সঙ্গে বহু সমাজবিরোধীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এজন্য নেশার কারবার বন্ধ হয়নি। রায়গঞ্জ শহরের সরকারি, বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড, শিলিগুড়ি মোড়, স্টেশন রোড, শহরতলি এলাকায় যত্রতত্র বেআইনি মদ, গাঁজা সহ নানা নেশার রমরমা কারবার জাঁকিয়ে বসেছে। বেআইনি ওই ধরনের নেশার কারবার চলতে থাকায় বাসিন্দারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বিননগরের এক যুবক জখম হয়েছেন বলে শুনেছি। আমি শহরের বাইরে আছি। ফিরে গিয়ে এবিষয়ে খোঁজখবর নেব। তবে শহরে কোথাও যেন নেশার কারবার না চলে সে বিষয়ে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলব।