সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জেলার পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর পরই শুভেন্দুবাবু কেশপুরে বিশাল মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলের পাল্টা হিসেবে বিজেপিও কেশপুরের মাটিতে মিছিল করেছিল। কেশপুরের একাধিক জায়গায় বিজেপি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যেই শুভেন্দুবাবু এদিন সভা করেন। সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত দু’দিন ধরে ওরা বোমাবাজি করছে। সাহস রেখে কাজ করুন। আপনারা কেশপুর থেকে ৯১ হাজার লিড দিয়েছিলেন বলে আমরা ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছি। আপনারা ভয় পাবেন না। ঐক্যবদ্ধ হন। পুজোর পর আমরা ফের কেশপুরে বিশাল মিছিল করব। আমরা হেঁটে নন্দীগ্রাম জয় করেছি। আমি নন্দীগ্রামে ডক্টরেট। এরপর তিনি বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের নাম না করে বলেন, দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মতো শাড়ি পরে এই জেলায় এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন। সিপিএমের অনুজ পাণ্ডে, তপন-সুকুর আলিদের হুমকিকে ভয় পাইনি, তো এসব হুমকি দেখিয়ে লাভ নেই।
এরপর তিনি ২০০২ সালের বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারকেও সিপিএমের হার্মাদরা হার মানিয়েছিল। জ্যান্ত মানুষকে মাটিতে পুঁতে দিয়ে খুন করার নজির ব্রিটিশ আমলেও ছিল না। সিপিএমের হার্মাদরা তা করে দেখিয়েছে। সেই বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের নায়করা এখন গেরুয়া পোশাক পরে নবরূপে এসেছে। ওদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নতুন করে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে। অন্য রাজ্যে এসব সুবিধা নেই। কেন্দ্র ৩ কোটি মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আরও ৫ কোটি মানুষকে এই সুবিধা দিচ্ছেন। গরিবদের জন্য সমব্যথি প্রকল্প অন্য কোনও সরকারের আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, এই রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব। আমরা গত লোকসভায় ৩৪ থেকে ২২ হয়েছি ঠিকই। কিন্তু, আমরা ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। প্রাক্তন সিপিএম এখন বিজেপি হয়েছে। আগেকার সেই হাত কাটা, কান কাটা, অন্যের পুকুরে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হার্মাদরা এখনই ওদের নেতা হয়ে উঠেছে।
এদিনের সভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দীনেন রায়, স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা, তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।