সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট ১নম্বর ব্লকের সোলাদানা গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন মণ্ডল পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। তাঁর রেশন কার্ড সহ বিভিন্ন কাগজপত্রে নামে ত্রুটি ছিল। এই নাম বিভ্রাটের জেরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কয়েক দিন ধরে তিনি স্থানীয় বিডিও অফিস যাওয়ার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন। রবিবার সকালে পরিবারের লোকেরা বাড়ির পিছনের আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। স্ত্রী টুকটুকি বিবি বলেন, কাগজপত্রে নামের একাধিক ভুল ছিল। সেগুলি সংশোধন করতে গেলেও, তা ঠিক হয়নি। সেকারণে সব সময় বলতেন, আমাদের এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিলে কী হবে? এনআরসি আতঙ্কের কারণেই আমার স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন।
অন্যদিকে, বারাসত ২ ব্লকের দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটো আমিনপুর গ্রামে আয়েপ আমিনের বাড়ি। তিনি ৭১ সালের আগের দলিল পাচ্ছিলেন না। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসে ঘুরছিলেন। শনিবারও তিনি বিভিন্ন অফিস ও বাজার ঘুরে দুপুর দেড়টা নাগান বাড়ি ফেরেন। এরপর দুপুর ২টা নাগাদ তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুরেই তাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, এদিন সকালে এনআরসির প্রতিবাদে বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। ১১টা ৭ মিনিট থেকে প্রায় ১০মিনিট রেল অবরোধ করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এরপর রেলপুলিসের হস্তক্ষেপে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। বসিরহাট পুরসভার ১৮নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এনআরসি নিয়ে মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দিনভর বিভিন্ন অফিসে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকছেন। রাতেও জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন উদ্বিগ্ন মানুষ। ইতিমধ্যে কয়েকজন আতঙ্কে মারা গিয়েছেন। বিজেপির এই চক্রান্ত আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। এই রাজ্যে এনআরসি বাতিল করতে হবে।