সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোতায়েন ছিল ৫৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে ৫০ কোম্পানি জঙ্গলমহলে টহলদারিতে পাঠানো হয়েছিল। পরে ঠিক হয়, ষষ্ঠ দফায় তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপর, পুরুলিয়া, এই আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ৬৮৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কিন্তু বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং নির্বাচন কমিশন রাজ্যের বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে ডেকে রাজ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। ভোট পরিস্থিতি নিয়ে পুলিস পর্যবেক্ষকের কাছে রিপোর্ট পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভীর রাতেই ফোর্স বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকালে জানিয়ে দেওয়া হয়, মোট ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ষষ্ঠ দফার ভোটে আসবে। তাদের পরিবহণের ব্যবস্থা, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে রাজ্য পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ মার্চ যখন ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তখন সর্বাধিক ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের চাপে এবং পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেই বাহিনী বেড়ে দাঁড়াল ৭৪০ কোম্পানি। অতীতে কোনও ভোটে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসেনি বলে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা রেকর্ড। এখনও বাকি সপ্তম দফার ভোট। ১৯ মে হবে সেই ভোট। সেদিন কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে ন’টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হবে। সেই ভোটে আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন চেয়ে চাপ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে বুধবার রাত ১১টা থেকে কলকাতায় কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বসেন বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খান। বৃহস্পতিবার সকালে কমিশনের দপ্তরের সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করা হয়। পরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে সৌমিত্রবাবু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে ৯০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা।