সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কলকাতায় এদিনও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির আশপাশে ছিল। মঙ্গলবারের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৩৭.৮ ডিগ্রি হয়। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় সবচেয়ে বেশি গরম ছিল গত সোমবার। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। তবে কলকাতা সংলগ্ন দমদমে গরমের মাত্রা এদিন অনেকটা বেশি ছিল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে (৩৯.৯ ডিগ্রি)। গণেশবাবু জানিয়েছেন, দু’-একদিনের মধ্যে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ গত শনিবারই সরে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। কিন্তু এখনও বায়ুমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস আসছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ওই উষ্ণ বাতাস ঢুকছে। এদিন আলিপুরে সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। যা গরমকালের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। দুপুরবেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করার সময় আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৫ শতাংশ ছিল। মঙ্গলবারও এটা ছিল ৬৫ শতাংশ। বেশি জলীয় বাষ্পের জন্য ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু জলীয় বাষ্প থাকলেও এখনও বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সম্ভাবনা কম। ফলে চড়া রোদ থেকে নিস্তার নেই। দক্ষিণবঙ্গের আশপাশে কোথাও কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সহায়ক নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা এদিনও ছিল না। উত্তর বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে। যার থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতায় গত ১০ বছরের মধ্যে মে মাসে একবার ছাড়া প্রতিবারই ৩৮ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা হওয়ার নজির আছে। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৬, ২০১৪, ২০১২ ও ২০০৯ সালে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। ২০০৯ সালের ৯ মে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.১ ডিগ্রি। তবে মে মাসে কলকাতায় সবর্কালীন বেশি গরম পড়েছিল ১৯৪৫ সালে। ওই বছরের ২৮ মে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।