সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, পুরুলিয়ার হুড়া ও কোটশিলায় তিনটি জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রচণ্ড রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে তিনটি জনসভাতেই ব্যাপক জনসমাগম দেখে খুশি হয়েও মমতা বারবার ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, এই গরমে সবাই এসেছেন। গরমের মধ্যে সভা করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ঊর্ধ্বমুখী তাপমান যন্ত্রের পারদের মতোই মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষণেও সুর চড়ান বাংলার অগ্নিকন্যা। পুরুলিয়ার সভায় তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ওরা ঝাড়খণ্ড থেকে ফেট্টি বাঁধা লোক ঢোকাচ্ছে, আপনারা সাবধান।
এদিন ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে এলাকার উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরেন অন্যদিকে তেমনই বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ওরা কোনও উন্নয়নের কথা বলতে পারে না। নরেন্দ্র মোদিকে না হটালে দেশে স্বাধীনতা থাকবে না। গণতন্ত্র থাকবে না। ওরা দেশের সংবিধানকে বদলে দেবে। ইতিহাস, ভূগোল বদলে দেবে। আর কোনও দিন হয়ত দেশে নির্বাচনই হবে না। নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে, অঘোষিত ইমার্জেন্সি চলছে। সংবাদমাধ্যমও কথা বলতে পারে না। একমাত্র বাংলাই পারে। সবাই ভয়ে চুপসে গিয়েছে। কিন্তু কাউকে না কাউকে কখনও না কখনও বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হয়। আমরা ঘণ্টা বেঁধে দিয়েছি।
মমতা বলেন, এটা দিল্লির সরকার পরিবর্তন করার নির্বাচন। যে দিল্লি আমাদের বঞ্চিত করে, যে দিল্লি আমাদের অসম্মান করে, যে দিল্লি বাংলাকে বঞ্চিত করে, যে দিল্লি দাঙ্গা লাগায় সেই নরেন্দ্র মোদির দিল্লি সরকারকে পরিবর্তন করার নির্বাচন। আজ পর্যন্ত যে ভোট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি গো হারা হারছে। সব জায়গায় গোল্লা পাবে। বিজেপি হারছে, হারবে। তাই বিজেপিকে বিদায় দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদি আসবে না, আসবে না, আসবে না। হারবে হারবে হারবে। বিদায় নেবে, বিদায়। এটা আমাদের শপথ, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা এক ইঞ্চি জমিও বিজেপিকে ছাড়ব না। এই চৌকিদার চাই না। আমরা দেশের জন্য দেশপ্রেমিক চাই। এরপরই নেত্রীর কণ্ঠে কটাক্ষ ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, দেশভক্তি শেখাচ্ছে! কোথায় ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়?
মমতা বলেন, এমন স্বৈরাচারী দল কখনও আসেনি। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি, এমন মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখিনি। ওঁর একটা ব্লকের কাউন্সিলার হওয়ার যোগ্যতাও নেই। প্রতিদিনই এক কথা। তোতা পাখির ভেতো বুলি। লোক মরে গেছে, আসনি। বন্যা খরা হয়েছে, দেখতে আসনি। আর আজকে নির্বাচনের সময় আসছো। ভাবছো সব জায়গায় তো হারব। বাংলায় হিন্দু-মুসলমান গোলমাল লাগিয়ে দিয়ে যদি একটা দুটো সিট পাই। একটাও পাবে না। ছিল দুটো, হবে গোল্লা।