গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের হাটগাছির বাসিন্দা প্রদীপবাবু বিজেপির নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ২০১৯ সালে তৃণমূলের শাহজাহান বাহিনীর হাতে তাঁকে খুন হতে হয়। তাঁর ছেলে প্রীতম মেধাবী। পঞ্চম শ্রেণি থেকে হাটগাছি শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে প্রথম স্থান অধিকার করে চলেছে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার মৃত্যুতে পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে। তারপর গ্রামছাড়া হতে হয় প্রীতম, তাঁর মা পদ্মাদেবী ও ভাই অনুভবকে। তাঁরা কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। প্রীতম অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয় রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে। ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়। তারপর পরীক্ষা দিয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়। তার লক্ষ্য ছিল আইপিএস হওয়ার। সেই মতো শুরু করে পড়াশোনা। কলা বিভাগের ছাত্র প্রীতম উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৩ নম্বর পেয়েছেন। প্রীতম বলেন, ‘আমার বাবা রাজনৈতিক চক্রান্তের বলি। বাবার স্বপ্ন ছিল সমাজের জন্য ভালো কিছু করার। সেটা আমি পূরণ করব।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বাবাকে যখন খুন করা হয়েছিল তখন গোটা এলাকা পুলিসে ছয়লাপ। আমার স্পষ্ট মনে আছে, পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ বারেবারে পুলিসের কাছে গিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের কথা বলেছিল। কিন্তু তা হয়নি। এখনও বাবার খুনিরা অধরা। আমি চাই পুলিস হতে। অসহায় মানুষ যাতে ন্যায্য বিচার পায় তার জন্য কাজ করব। ইউপিএসসি দিয়ে আইপিএস হতে চাই। তাঁর মা পদ্মা মণ্ডল ছেলের সাফল্যে কান্না ধরে রাখতে পারেননি। বলেন, আমি পুকুর থেকে স্বামীর দেহ উদ্ধার করেছি। তখন থেকেই আমরা গ্রামছাড়া। আমাদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়। শাহজাহানের লোকেরা আমার স্বামীকে খুন করে। আমাদের জমি কেড়ে নেয়। আমার স্বামী চাইত দুই ছেলে ভালো কাজ করবে সমাজের জন্য। বড় ছেলে আইপিএস হতে চায়। ওঁর জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। আর ছোট ছেলে অনুভব উচ্চমাধ্যমিক দেবে। আশা করি ও ভালো ফল করবে।