কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও মহকুমা আদালতের বিভিন্ন বিচারক, বেঞ্চ ক্লাক ও আইনজীবীরা করোনায় আক্রান্ত। ফলে নানা আদালতের আইনি প্রক্রিয়া প্রায় থমকে গিয়েছে। তাই সুরক্ষার প্রশ্নে আলিপুরে আদালত ও আইনজীবীর সংগঠন সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে বলে মনে করছেন প্রবীণ আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হলে হলফনামার সংখ্যাটা কোনও মতেই বাড়ানো ঠিক হবে না। সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা যত বাড়বে, এখানে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকবে।
আলিপুর আদালতের অধীনে রয়েছে কলকাতা পুলিস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন থানা। স্বভাবতই বিরাট এলাকার মামলা এবং অন্যান্য প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষ এখানে আসেন। প্রথম শ্রেণির এফিডেভিট বিচারকের উপস্থিতিতেই করাতে হয়। স্বভাবতই আদালত চত্বরে সাধারণ মানুষ ও বিচার প্রার্থীদের বেজায় ভিড় জমে যায়। এতে উদ্বেগ বাড়ছিল। সবাই চাইছিলেন একটু লাগাম টানা হোক। তবে হলফনামার কাজ কমিয়ে দেওয়ার ফলে গত কয়েকদিনে সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যায় পড়া লোকজন চান, পরিস্থিতি যেন তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়।
বুধবার আলিপুর ডিএম অফিসের সামনে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা অরূপরতন আইচ বলেন, আমার স্ত্রীর দু’টি সরকারি নথি সংশোধনের প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রথম শ্রেণির হলফনামা চেয়েছে। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম একদিনে একশোটির বেশি হলফনামা হবে না। আমরা তার পিছনে পড়ে গিয়েছি। ফলে কাজটা আজ হবে না। অগত্যা ফিরেই যাচ্ছি। একটি প্রথম শ্রেণির হলফনামার জন্য, দেখা গেল, পঞ্চসায়রের বাসিন্দা গৃহবধূ মনোরমা পোদ্দার এক ল-ক্লাকের কাছে কাকুতি-মিনতি করছেন। ল-ক্লাকটি বলেন, পাবলিক নোটারি দিয়ে কাজ হলে আজই হতে পারে কিন্তু প্রথম শ্রেণির হলফনামা আজ কোনওমতেই হবে না। রাজাবাগানের বাসিন্দা বৃদ্ধ অসীম পালকেও দেখা গেল একই কারণে কঠিন সমস্যায় পড়েছেন। একই দৃশ্য দেখা গেল আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসের বাইরে। বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ। বেজায় মুখ ভার তাঁদের। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতেও বেরিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
রাজ্য বার কাউন্সিল সদস্য ইন্দ্রনীল বসু ও আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা সুব্রত সরদার বলেন, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা বুঝতে পারছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এছাড়া উপায়ই-বা কী ছিল? অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে কোনও অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে উঠবে না তো? কিছু আইনজীবী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এলে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপই করা হবে।