সংবাদদাতা, কল্যাণী: ছড়ার মাধ্যমে কল্যাণী বিধানসভা এলাকায় শুরু হয়েছে ভোটের প্রচার। শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে রং তুলির মাধ্যমে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা লিখে চলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ছড়া। সেখানে কোথাও লেখা হয়েছে ‘আট দফা হোক কিংবা আশি, ভোট তো দেবে বঙ্গবাসী, সেই বঙ্গে দেখবি আয়, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, কোথাও আবার লেখা ‘সবুজ ঝড় আসছে তেড়ে, ভাগ বিজেপি বাংলা ছেড়ে’, ‘দেশে ছড়াবে সবুজ রং। উড়িয়ে দেব সবার ঢং’, ‘দেশে আবার শান্তি চাই দিদিমণি তোমায় চাই’—এই ধরনের নানা ছড়া বেঁধে দেওয়াল লিখন জোর কদমে শুরু করেছেন তাঁরা। 
ভোটের নির্ঘণ্ট গত শুক্রবার প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নিজেদের প্রার্থী তালিকা বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এখনও প্রকাশ না করলেও আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন সকলেই। প্রার্থীর নাম ঘোষণা না-হওয়ায় আপাতত কল্যাণী বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন ছড়া দিয়ে দেওয়াল লিখন করে প্রচার যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল, যা নিয়ে শুরু থেকেই রীতিমতো জমে উঠেছে ভোটের হাওয়া।
কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ছড়ার মাধ্যমে খুব কম শব্দ প্রয়োগ করে সহজেই ভোটের ইস্যুগুলি পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে জনগণের কাছে। এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় ছড়া লিখে দেওয়াল লিখন শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে, রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি আকাশ দাস বলেন, ছড়ার মাধ্যমে ভোটদাতাদের কাছে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দেওয়াটাও সহজ। মানুষের ছড়াগুলি পড়তেও ভালো লাগে। তাই আমরা শুরু থেকেই ছড়ার মাধ্যমে দেওয়াল লিখনকে ভোটের প্রচার হিসাবে বেছে নিয়েছি।
ভোট এলেই নিত্য নতুন ছড়া রচনা করে একে অপরকে রাজনৈতিক আক্রমণ করার রেওয়াজ অনেক আগে থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে হয়ে আসছে। চলতি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে দেওয়াল দখলের কাজ বিধানসভা এলাকার রাজনৈতিক কর্মীরা আগেই শেষ করে ফেলেছেন। এদিকে রাজ্যে ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে তৃণমূল সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ না-হওয়ায় প্রার্থীর নাম ফাঁকা 
রেখে অনেক জায়গায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে ফ্লেক্স, ব্যানারকে নয়, পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়াল লিখনেই প্রথম থেকে জোর দেওয়া হয়েছে। আর সেই দেওয়ালে ছড়ার মাধ্যমেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের রাস্তা নিয়েছে তৃণমূল।