বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন ঘিরে উত্তাল হয়েছে দেগঙ্গা। শাসক দল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকজন ও নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। এদিন হাজিপুর হিজরা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১২ জন ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেন। আরও পাঁচজন টাকা দিয়ে দেবেন বলে ব্লকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এঁরা কেউই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নন। দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্লকের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জন চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দিলেন, বাকিরাও দেবেন। অন্যদিকে, বনগাঁ ব্লকের ঘাটবাওরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুজন বিডিও অফিসে এসে টাকা ফেরত দিয়েছেন। যার মধ্যে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
অন্যদিকে, এদিন আমডাঙা বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁরা আবেদনপত্র জমা দিতে এলে বিডিও অফিসে একটি নোটিস দেখতে পান। তাতে লেখা ছিল, আবেদনপত্র রবিবার পর্যন্ত জমা নেওয়া হবে। তারপর আর কোনও আবেদন নেওয়া হবে না। ওই নোটিস দেখার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। শুরু হয় অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ। পরে পুলিস সেখান থেকে হটিয়ে দিলে বিক্ষোভকারীরা বিডিও অফিস সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন। আধ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। তাতে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। আবেদন জমা দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। আমডাঙার বিডিও বজরুল রহমান বলেন, প্রত্যেকের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। যে সমস্যা ছিল, তা মিটে গিয়েছে।
গাইঘাটা ব্লকের ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিস এসে বিক্ষোভ তুলে দেয়। অভিযোগ, উম-পুনে তাঁর বাড়ির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অথচ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। গাইঘাটা ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সর্বত্র টাকা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে টাকা ফেরত দিতে হবে।