বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মে মাসে কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ঝাড়খণ্ডের পাঁচ অস্ত্র কারবারি গ্রেপ্তার হয়। তারা এ রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা খুলেছিল। তাদের জেরা করে জানা যায়, বিহারের মুজফ্ফরপুর ও বৈশালীতে দুটি নতুন অস্ত্র কারখানা খোলা হয়েছে। মুঙ্গেরের কারিগররাই সেখানে কারখানা চালাচ্ছে। এই তথ্য জানানো হয় বিহার পুলিসকে। তারাও খোঁজখবর শুরু করে। আরও তদন্তে কলকাতার তদন্তকারীরা মুজফ্ফরপুর ও বৈশালীর দুটি অস্ত্র কারখানাকেই চিহ্নিত করে। রবিবার রাতে সেখানে তল্লাশি চালান বিহার ও কলকাতা পুলিসের অফিসাররা। দেখা যায়, সেখানে অস্ত্র তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। বসানো হয়েছে ছোট ছোট লেদ মেশিন। পড়ে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির ডাইস। পুলিস দেখে কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করে। তার আগেই ধরা পড়ে যায় সকলে। সেখান থেকে সেমি ফিনিশড ৪৮টি পিস্তল, পিস্তল তৈরির ১৪৮টি প্লেট, চারটি লেদ মেশিন ও নাইন এম এম তৈরির সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। এই কারখানাটি খোলা হয় বছর দেড়েক আগে। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা শওকত আনসারি ওই কারখানার মালিক। ধৃতদের জেরা করে বিহার পুলিস জেনেছে, বাংলা থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর অর্ডার আসছে। মুঙ্গেরের কারখানা সব সময় এর জোগান দিতে পারছে না। তার উপর সেখানে পুলিসি ধরপাকড়ের কারণে অনেক কারখানাই এখন বন্ধ। লুকিয়ে চুরিয়ে যে সব জায়গায় কাজ হচ্ছে, সেখানেও চাহিদার চাপ রয়েছে। চাহিদা মেটাতে তাই মুজফ্ফরপুর ও বৈশালীতে নতুন কারখানা খোলা হয়। এক-একটি আগ্নেয়াস্ত্র দু’হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানো হয় প্রাইভেট গাড়ি বা বাসে। রাজ্যের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লোক মারফত তা সংগ্রহ করে। অভিযুক্তরা পুলিসকে জানিয়েছে, এ রাজ্যের একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে। বিহারে নির্বাচন এসে পড়েছে এবং আগামীবছর পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন রয়েছে, তাই আরও বেশি সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্রের অর্ডার আসবে ভেবে তারা মুজফ্ফরপুর এবং আরও কয়েকটি জায়গায় এমন কারখানা খুলেছি।