বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ১৯ জন। তারমধ্যে ১২জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিডনির সমস্যায় ভোগা এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এখনও ছ’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি বাড়িতে গিয়ে জ্বরের পরীক্ষাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে ভোগা শহরবাসীকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার বিষয়ে পুরসভায় বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওয়ার্ড ভিত্তিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। সেইমতো পুরসভার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রেসার, সুগার, কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা, থাইরয়েড, হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগে কারা আক্রান্ত রয়েছেন, তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এইসব রোগীরা কোনও হাসপাতালে গিয়েছেন কি না, চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন কি না, কারোর ডায়ালসিস চলছে কি না, শেষ কবে অসুস্থ হয়েছেন, এমন সমস্ত তথ্য তালিকা করে নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত শহরে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত ৩,১৭৪ জন মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই সমীক্ষার কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করা কর্মীদের নিয়ে পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। মোট ১৬০ জনকে ৮০টি দলে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক দলকে প্রতিদিন ১২০টি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরের থেকে কেউ এসেছেন কি না, কারোর জ্বর আছে কি না, এসব বিষয়ও জানা হচ্ছে। মোট ৩৫টি থার্মাল গান কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি পুরসভার নিজস্ব চারটি স্যানিটাইজিং মেশিন দিয়ে শহরের বিভিন্ন বাড়িঘর, ব্যাঙ্ক, অফিস ও দোকান জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।