বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন ও উমপুন পরবর্তী পর্যায়ে দলের অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধির ভূমিকা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দলের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এখনই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, পরবর্তীতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা কার্যত অসম্ভব। সেকারণে হালিশহরের এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। অভিযোগ, লকডাউন পর্বে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো দূরের কথা, তিনি পুরসভা থেকে প্রচুর পরিমাণ স্যানিটাইজার নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। একইভাবে দক্ষিণ দমদমের এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকেও শো-কজ করা হয়েছে। লকডাউন পর্বে রেশনের চাল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও হাবড়া ২নং ব্লকের এক অঞ্চল সভাপতি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। তিনি নিজের পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয় ও পরিচিত মিলিয়ে মোট প্রায় ৩০ জনকে টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁকেও শো-কজ করা হয়েছে। দলের অন্দরে থেকেই দাবি উঠেছে, শুধু চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হবে না। দলের বেশ কয়েকজন নেতাও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তারমধ্যে বেশ কয়েক জন ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ ও প্রধান রয়েছেন। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে পদ অনুযায়ী কোন জনপ্রতিনিধি কতজন ঘনিষ্ঠের নাম তালিকায় ঢোকাবে, সেই কোটা ভাগাভাগি হয়েছে স্বরূপনগর সহ একাধিক ব্লকে। এইসব নেতাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তিনজনকে আপাতত
শো-কজ করা হয়েছে। অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।