বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
দক্ষিণের ২৯টি ব্লক জুড়ে একশো বিঘার উপর শুধু চাষের জমি। এছাড়া এক থেকে পাঁচ বিঘার কাছাকাছি বড় ও ছোট পুকুর রয়েছে অসংখ্য। সব জায়গাতেই মাছ চাষ হয়। ২২টির বেশি জায়গায় পরিষদের ডিসপেনসারি সহ পুকুর, জমি রয়েছে। বাম আমলে পরিষদ সেই সব জলাশয়, পুকুর, চাষের জমি লিজ দিয়ে রোজগার করত। একেবারে শেষ দিকে রাজনৈতিক পালাবদলের সময় এর নথি পরিষদ থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়। তৃণমূল পরিষদের ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর জমির অবস্থান সংক্রান্ত একটি খাতা পাওয়া গিয়েছিল। সেই খাতায় ২৯টি ব্লকের কোথায় কী কী আছে, তার উল্লেখ ছিল। কিন্তু তার রেকর্ড ছিল না। পরবর্তী সময়ে খোঁজখবর শুরু হলে ব্লক থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরে ভূমি সংস্কার অফিস থেকে রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে।
সাম্প্রতিককালে পরিষদ এ নিয়ে আরও অনুসন্ধান চালায়। তাতে দেখা গিয়েছে, মহেশতলার চট্টাতে কয়েক কোটি টাকা দামের সম্পত্তি দখল হয়ে গিয়েছে। সেই জমিতে পাকা দোতলা নির্মাণ হয়েছে। একতলায় লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে দশ থেকে এগারোটি দোকান বিক্রি হয়েছে। সেই জমি উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায়, তা ভুয়ো পড়চা তৈরি করে অন্য নামে রেকর্ড হয়েছে। অনেক পরে সরকারি রেকর্ড ঘেঁটে জেলা পরিষদের বলে প্রমাণ হলেও রাজনৈতিক কারণে উদ্ধারকাজ ধামাচাপা পড়ে যায়। ভাঙড়-১ এর নেওড়াতে এক বিঘার বেশি জলাশয় দীর্ঘদিন ধরে দখল করে শাসকদলের লোকজন মাছ চাষ করছিল। পরিষদ তার থেকে পয়সাও পাচ্ছিল না। গত বছর সেই জলাশয় রামকৃষ্ণ মিশনকে রেজিস্ট্রি করে লিজে দেওয়া হয়। তার জন্য টাকাও নিয়েছে পরিষদ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দখলমুক্ত করে মিশনের হাতে সেই জলাশয় তুলে দিতে পারেনি। মন্দিরবাজারে পরিষদের জমি দখল করে রীতিমতো ব্যবসা চলছে। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বাপুলি বলেন, প্রচুর জায়গা বেদখল হয়ে রয়েছে। যা থেকে পরিষদের রোজগার হতে পারত। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দখল জমি উদ্ধার করতে হবে। এজন্য দখলদারদের নোটিস দিতে বলা হয়েছে।