নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবশেষে একাধিক বিতর্কিত অংশ বাদ দিয়ে স্ট্যাটিউট পাশ হল। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠকে সেটি সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। এবার সেই বিধি উচ্চ শিক্ষাদপ্তরে পাঠানো হবে। কী ছিল সেই বিতর্কিত অংশে? কয়েক বছর আগে দপ্তর থেকে যে স্ট্যাটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা ছিল, কোনও অধ্যাপক মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। কথা বলতে হলে তার জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি সরকারের কোনও নীতির সমালোচনাও করা যাবে না। এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অধ্যাপকরা। সেই অংশ অবশেষে বাদ দেওয়া হল।
এদিকে, আজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভোট। তা নিয়ে সব পক্ষর মধ্যেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ইসি’তে লাইব্রেরি সায়েন্স বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে ফ্যাস এবং টিএমসিপি। সেই প্রেক্ষিতে ওই অধ্যাপকের ক্লাসের দায়িত্ব বদলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ওই অধ্যাপকের ভোটের দায়িত্ব ছিল স্নাতকের ক্লাসে। তার বদলে এবার তিনি স্নাতকোত্তরের ক্লাস দেখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অধ্যাপক সংগঠন জুটা। তার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ছাত্র সংগঠগুলির তরফে অভিযোগ হচ্ছে অথচ তার তদন্ত না করেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষকরা নিজে থেকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তা দেওয়া হয়েছে। এমন যদি হতে থাকে, তাহলে আগামীদিনে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা নিয়ে ভেবে দেখা হবে।
ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বাইরে থেকে বাড়তি আটজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্যাম্পাসের উত্তেজনাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে টহল দেবেন এই রক্ষীরা। তাছাড়া অন্যান্যদিন প্রতিটি গেট পুরোপুরি খোলা থাকে। আজ সেগুলি অর্ধেক খোলা থাকবে। বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে।