পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
দিল্লির অভিজাত গ্রেটার কৈলাসে মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এদিন লালবাজারের কর্তারা বলেন, অত্যন্ত বিলাসিতায় জীবনযাপন করত ওই রোমানিয়ান। এদিন গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, ধৃতকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন সে এরকম জীবন বেছে নিল, তখন তার একটা উত্তরই ছিল, সহজভাবে টাকা রোজগার করতে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সিলভিউ উচ্চশিক্ষিত। একটি জাহাজ কোম্পানিতে সে কাজও করেছে। কার্গো কর্মী হিসেবেই সে কাজ করত। ভারতে আগেও সে দু’বার এসেছে। গোয়েন্দাদের কাছে সে জেরায় জানিয়েছে, ভারতের ইতিহাস নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ রয়েছে। তাজমহলও দেখেছিল সে। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই দু’বার এসে সিলভিউ রেইকি করে গিয়েছিল। থাকার জায়গাও সেই সময়ই এসে ঠিক করে গিয়েছিল সে। জেরায় রোমানিয়ান জানিয়েছে, সে এই জালিয়াতি করার ছক শিখেছে তার দেশের বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে। তার দেশে অনেক রোমানিয়ানই ভারতে এসে এমন জালিয়াতির কাজ করে গিয়েছে। তবে সিলভিউ শুধু ভারতেই নয়, ব্রিটেনেও গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সে কিছু করতে পারেনি বলেই গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন।
লালবাজার সূত্র জানা গিয়েছে, এই শহরের এটিএমগুলিতে জালিয়াতি করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সে তুলেছে। এদিনও ধৃতকে জেরা করে তার বাড়ি থেকে ৩৫টি কার্ড উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ৩৫০টি কার্ডের ডেটা উদ্ধার হয়েছে। এখনও পুলিসের হাতে মোট ৫৫টি কার্ড এসেছে। গোয়েন্দা প্রধান বলেন, সিলভিউ গোটা কাণ্ডটির মাস্টার মাইন্ড। সহযোগীরা কোনও এটিএমে কোনও ক্লোন করা কার্ড কাজ করলেই সহযোগীরা তা সিলভিউকে এসএমএস করে জানিয়ে দিত। তখন সিলভিউ এসে এটিএমে ঢুকত। কোনও কার্ড ব্লক থাকলে বা টাকা না থাকলে, সেই কার্ডে অন্য কোনও নাগরিকের কার্ডের ডেটা আপলোড করে দিত সিলভিউ। তারপরই টাকা তুলে নেওয়া হত। একবারে ২০টি কার্ড নিয়ে এরা ঢুকত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ বা এমন জনবহুল শহরগুলিকে এরা থাকার জায়গা হিসেবে বেছে নিত। সেখান থেকেই অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে কার্ডের তথ্য আপলোড করত সিলভিউ। তবে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, সিলভিউয়ের বাকি দু’জন সঙ্গীকে ধরলে ঘটনাটিগুলি আরও পরিষ্কার হবে।