শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অন্যায়ভাবে বাধা দিয়েছে পুলিস। দেবজিৎবাবু বলেন, নৃশংসভাবে মেরেছে পুলিস। আমাদের মোট ৬০ জন কার্যকর্তা নানা হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন। রাজুবাবু বলেন, আমাদের এভাবে না আটকে মশাগুলোকে আটকে দেখাক না পুরসভা। সারা রাজ্যে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। অথচ সব তথ্য চেপে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি এদিন ব্যারিকেড পর্যন্ত না এলেও মিছিলের শুরুতে ছিলেন। দিলীপবাবু বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে, ডাক্তাররা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কথা লিখতে ভয় পাচ্ছেন। তথ্য গোপন করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি চাই না এরকমটা হোক, তবুও বলব মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ডেঙ্গু হলে হয়তো তিনি বুঝবেন মানুষের কষ্টটা।
রাজুবাবু, দেবজিৎবাবু, বাদশা আলম সহ মোট ৪২ জনকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। এর মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন মহিলা। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো নির্দিষ্ট ধারায় এঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে বলেও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে লাঠিচার্জের ব্যাপারে লালবাজারের এক পদস্থ কর্তাকে এদিন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লাঠি চালানো হয়নি। ওরা যখন অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলল, তখন জমায়েত সরাতে পুলিস লাঠি নিয়ে তেড়ে গিয়েছে। এই অভিযানের বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, তথ্যগোপনের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। জোর করে তো কাউকে বলা যাবে না যে, ডেঙ্গুতে মরেছে। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই বলে বেশি লাফাচ্ছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সংবাদ শিরোনামে থাকার জন্য নাটক করা হচ্ছে। মিছিলের জন্য এদিন পুরভবনের চারপাশে নজিরবিহীন কড়াকড়ি শুরু করে পুলিস। পুরসভার ‘মেয়রস গেট’ বাদ দিয়ে বাকি তিনটি প্রবেশদ্বারই বন্ধ রাখা হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। লাগোয়া রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে পুরসভার কাজে এসে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বহু মানুষ।
এদিকে, ডেঙ্গুর মতো একটি জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে বিজেপির এই পথে নামাকে ২০২০ সালে কলকাতা পুরভোটের প্রস্তুতির মহড়া বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুজো চলে যাওয়ার পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। যত পুরভোট এগিয়ে আসবে, ততই এমন ইস্যুকে সামনে এনে শহরবাসীর মনে জায়গা পেতে বিরোধী দলগুলি চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।