সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এরাজ্য যে সোনা পাচারকারীদের ট্রানজিট রুট হয়েছে, সেটা বিভিন্ন সময়ে তদন্তে উঠে এসেছে। এই সোনার বেশিরভাগটাই আনা হচ্ছে থাইল্যান্ড, চীন ও দুবাই থেকে। বাংলাদেশ বা নেপাল সীমান্ত দিয়ে তা এরাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তারপর কলকাতা হয়ে সোনা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য প্রান্তে। সেই কারণে বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বেড়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দা এজেন্সির। গোপন সূত্রে এসটিএফের কাছে খবর আসে, গেদে সীমান্ত দিয়ে তিন বাংলাদেশি এসেছে এরাজ্যে। ট্রেনে করে তারা কলকাতায় আসছে। শিয়ালদহ স্টেশনে নামবে। সেইমতো এসটিএফের একটি টিম সেখানে পৌঁছে যায়। সেখানে আসামাত্রই তিনজনকে চ্যালেঞ্জ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় সোনা। জামাকাপড়ের মধ্যে তা মুড়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার হয় আটটি সোনার বার। যার ওজন ৮৫০ গ্রাম সোনা। বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়েই, ব্যবসার নাম করে তারা এদেশে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত ব্যক্তি চোরাই সোনা ভারতে নিয়ে আসছে, তাদের বেশিরভাগই এখন বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ঢুকছে। বৈধতার এই সুযোগ নিয়ে তারা সোনা নিয়ে আসছে। তা জামাকাপড়ের ব্যাগ বা জুতোর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। ট্রেন বা সড়কপথে সোনা ঢোকানো হচ্ছে। এর আগে অভিযুক্তরা একাধিকবার সোনা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসেছে। সীমান্তের ওপারে থাকা এক বড় মাপের চোরাকারবারির নির্দেশ মতো তারা এগুলি নিয়ে আসছে। উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ সীমান্ত দিয়ে চোরাই সোনা এরাজ্যে ঢোকার পর তা চলে আসছে বড়বাজারে। সেখানকার একাধিক কারবারি এই ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে তা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত জুয়েলারি ব্যবসায় জড়িতদের একাংশ এই চোরাই সোনা কিনছে। এভাবে অবাধে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে সোনা ঢুকে পড়ায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারণেই এই কারবারের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন এজেন্সি।