সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল রব কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁর স্ত্রী কয়ড়া গ্রামের শিবতলা এলাকার বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকেন। মহিলার মানসিক সমস্যা থাকায় প্রায়শই পাথরা গ্রামের বাপের বাড়ি থেকে মা লালবানু বিবি এসে মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন মেয়েটির মা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ির বাইরে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্যদেরও বিষয়টি জানান মা। দিনভর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নেওয়ার পর তার কোনও খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় কদম্বগাছি ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
এরপর পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা কয়ড়া গ্রাম ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ খবর শুরু করেন। এদিন সকালে পাশের গ্রামে এক শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের গুজব ছড়ায়। সেখানে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে কিছুই পায়নি। কয়ড়া গ্রামের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত বাগান রয়েছে। তার পাশেই পাট পচানোর ডোবা রয়েছে। ওই ডোবার দিকে যাওয়া এক স্থানীয় পচা গন্ধ পান। দুপুর ১টা নাগাদ কৌতূহলবশত তিনি বাগানের মধ্যে ঢোকেন। তখন বাগানের মধ্যে থাকা ঝোপে পরিপূর্ণ ড্রেনের মধ্যে শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিস এসে দ্রুত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুকন্যার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। জামা ও প্যান্ট ড্রেনের ধারে পড়েছিল। মৃতদেহ পচে গেলেও বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বলে দাবি এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর জানার পর মা প্রায়শই মূর্ছা যাচ্ছেন। ফুটফুটে মেয়ের এই পরিণতি মানতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। সকলেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা কয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা নিজামুল কবির বলেন, ওই শিশুকন্যার মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। তবে মেয়েকে কখনও তিনি কাছছাড়া করতেন না। মঙ্গলবার শিশুকন্যা নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পরই আমরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। কোনও খবর না পেয়ে মেয়ের মাকে নিয়ে গিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। এদিন দুপুরে ঝোপঝাড় পূর্ণ বাগানের ভিতরের ড্রেন থেকে শিশু কন্যার বিবস্ত্র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ড্রেনে এক হাঁটুরও কম জল ছিল। ফলে জলে ডুবে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। মৃতদেহ দেখার পর সকলের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যারা এই পৈশাচিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোর সাজা নেই।