সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
আগরপাড়ার একটি বিস্কুট কারখানার পাশেই একটি বেসরকারি কেকের কারখানা রয়েছে। প্রায় ২০ জন শ্রমিক কারখানায় কাজ করেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন যুবক এসে কারখানার খোলা জায়গায় ঘুড়ি ওড়াবে বলে ঢুকতে যায়। তাতে বাধা দেন কারখানার ম্যানেজার। এই ঘটনায় নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে তাদের বাদানুবাদ বাধে। সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় বেশ কিছু যুবক এসে কারখানার অফিস রুমে ভাঙচুর চালায়। গাড়ি, বাইক, টেয়ার টেবিল, আলমারি, গেট ভেঙে দেওয়া হয়। নগদ কিছু টাকাও ওরা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। তাণ্ডবকারীদের বাধা দিতে গেলে কারখানার দু’জন কর্মী জখম হন। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আরেকজনের আঙুলে চোট লেগেছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করেছিলেন কারখানার মালিক রাজকুমার আগরওয়াল। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি বলে তাঁর দাবি।
কারখানার মালিক এলাকার সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কোনও কাজে তোলা দিতে হবে এখানকার সমাজবিরোধীদের। তোলা না দেওয়াতেই এই হামলা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে এখানে কারখানা চালানো যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে কারখানা চালানোর পরিবেশ নেই। সব কারখানাই বন্ধ হয়ে যাবে। সমাজবিরোধীরা সব দলেরই রয়েছে। নির্দিষ্ট কোন দলের নয়। ওরাই এখানে তোলাবাজি করছে। কারখানার সামনে এসে মদের আসর বসায়।
পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ঘটনার কথা জানা নেই। তবে তোলাবাজি করলে পুলিস কড়া হাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কোন রঙ দেখা চলবে না, তা পুলিসকে বলা হয়েছে। খড়দহ থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।