সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সদ্য পেরিয়েছে মহরম। তারপরেই দুর্গাপুজোর দামামা। ফলে দম ফেলার ফুরসত মিলছে না ইমামবাজারের অনেক পুজো উদ্যোক্তারাই। মহরমের সময়ে সময় দিতে না পারাটাকে বাড়তি উদ্যোগ দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন মহম্মদ হালিম, রুস্তম হোসেনরা। দুপুরে তখন পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা ইমামবাজারের পুজো মণ্ডপে। সেখানেই কথা হচ্ছিল রুস্তম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ পুজো আমাদেরও, এভাবেই আমরা দেখে আসছি। পুজোকে কেন্দ্র করে মানবিক সম্মিলনের যে আহ্বান থাকে সেই আকর্ষণেই পুজোর প্রতি মুহূর্তের সঙ্গে আমরা জড়িয়ে থাকি। পুজোর কমিটির সম্পাদক সৌমিত্র সিংহ বলেন, সৌভ্রাতৃত্বের এ এক বর্ণময় উদযাপন। এই পুজোর শুরুই সৌভ্রাতৃত্ব দিয়ে। সেদিন এই মহল্লার সংখ্যালঘুরা সাহস দিয়ে পাশে না দাঁড়ালে ইমাবাজারের পুজোই শুরু হত না। আজ, ঠাকুর কাঁধে বয়ে আনা থেকে প্যান্ডেল নির্মাণ সমস্ত কাজেই রুস্তম, মুক্তাররা নিজেদের অপরিহার্য করে রেখেছেন। এ পুজো তাই শুধুই দুর্গোৎসব নয়, বিবিধের মাঝে মিলন মহান।
ধর্মীয় ঐক্যের এই পুজো ৩৭-তম বর্ষে এসে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে চাইছে। প্লাইউড, থার্মোকলে গড়ে উঠছে প্রকৃতিকে বাঁচান, নিজে বাঁচুনের থিম। পৃথিবীর একাংশের সবুজ আর অন্য অংশে নিদারুণ শুষ্কতার ছবি ফুটিয়ে তুলছেন মণ্ডপশিল্পীরা। পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে নানান প্রাকৃতিক উপাদানও। আর এসব আয়োজনে প্রতিদিন হাতে হাত রেখে পরস্পরকে ভরসা জোগাচ্ছেন দুই সম্প্রদায়ের পুজো উদ্যোক্তারা। হুগলি নদী আর হাজি মহসিনের সমাধিকে সাক্ষী রেখে নির্মীয়মাণ পুজো মণ্ডপের অন্তরালে প্রতিদিন নিঃশব্দে ধ্বনিত হচ্ছে, ‘মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম’এর সুর।