বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তার প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার। ওইদিন রাতে টেলি সিরিয়াল অভিনেতা জিতু কামালের গাড়িকে অন্য একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে ফোন করার পর অনেক দেরিতে পুলিস আসে বলে তাঁর দাবি। শুক্রবার ফেসবুক লাইভ করে পুলিসের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ওই অভিনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাতের কলকাতায় চলাফেরার মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁরা গভীর রাতে কাজ শেষ করে ফেরেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেবেন কে? পুলিস সাহায্য করেননি বলে ওই অভিনেতা যে অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি কর্তাদের। তিনি অভিযোগ জানানোর পর সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করে আটক করা হয়েছে গাড়িটিকে, এমনই দাবি পুলিসের।
ফেসবুক লাইভে জিতু অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনি শ্যুটিং সেরে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পাটুলি ঝিলের রাস্তা দিয়ে তাঁর গাড়ি বাইপাসের দিকে এগচ্ছিল। সেই সময় অন্য একটি গাড়ি তাঁর গাড়িটিকে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যায়। তাঁর গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই তিনি গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আগের গাড়িটি হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে। অভিনেতার দাবি, তিনি গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের ‘স্যার’ বলেই সম্বোধন করেন। কিন্তু তাঁরা তাঁকে যা তা বলতে থাকেন। এরপর গাড়ির পিছনের সিটে আঙুল দিয়ে কিছু একটা দেখানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। জিতুর বক্তব্য, হয়তো তাঁরা তাঁকে বন্দুক বা উইকেট জাতীয় কিছু দেখানোর চেষ্টা করছিলেন।
এরপর তিনি লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কাছে একাধিক থানা থেকে ফোন চলে আসে। কিন্তু পুলিস পৌঁছতে ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায়। এমনকী তাঁকে ফোনে এও বলা হয়, রাতে সেখান থেকে চলে যেতে। শুক্রবার সকালে থানায় গিয়ে এমসিআর করিয়ে নিতে। দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছিলেন পুলিসকর্মীরা। এর মধ্যে ওই গাড়িটি বাইপাসের ধারে একটি আবাসনে ঢুকে পড়ে। পঞ্চসায়র থানার পুলিস আসার পরে তিনি জানান, সেই গাড়িটি আবাসনেই রয়েছে। অভিনেতার দাবি, পুলিস তাঁকে জানায়, ওই আবাসনের ভিতরে ঢোকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সেখানকার নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। এরপরই ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, এই অবস্থা চললে সন্ধ্যা হলেই তো সকলকে ঘরে ঢুকে পড়তে হবে। ফেসবুকে নিজের গাড়ির পাশাপাশি যে গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মারে, তার ছবিও পোস্ট করেন।
এদিকে জিতুর দাবি উড়িয়ে পুলিসের যুক্তি, ওই অভিনেতা ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়। তিনি থানায় আসতে চাননি। যে কারণে পুলিসই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। সেখানে ভয় দেখানো, গাড়ির ক্ষতি করা সহ একাধিক ধারা আনা হয়েছে। আটক করা হয়েছে গাড়িটিকে। গাড়ির মালিকেরও খোঁজ মিলেছে।