বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আড়াইটার সময় হেলিকপ্টারে আসবেন বলে ঠিক ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য সড়কপথে ঘোষিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে দুপুর দেড়টা নাগাদ হাজির হন। প্রথমেই মাহেশ লাগোয়া রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলের সামনে বড় মসজিদের ইমামের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে মিনিট দশেক কাটিয়েই মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, প্রবীর ঘোষাল, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জগন্নাথ মন্দিরের সামনে হাজির ছিলেন।
প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চান। এরপরে মন্দিরে পুজো দেন। মন্দিরে এক ঘণ্টার বেশি সময় কাটিয়ে দুপুর তিনটে নাগাদ মাহেশের রথের সামনে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী রথের সামনে একটি মঞ্চে উঠে বলেন, মাহেশের রথে আমি কখনও আসিনি। আকবর আলি খন্দকার সাংসদ থাকার সময়ে আমি এখানে এসে রথের দড়ি টেনেছি। তবে তখন মন্দিরে ঢোকা হয়নি।
ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরপাড়ায় গঙ্গার ধারে যেখানে ফিল্ম সিটি করার কথা ছিল, সেখানে ১৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিরাট জল প্রকল্পের কাজ চলছে। পাশাপাশি ওখানে গঙ্গার ধারে ইকো ট্যুরিজম পার্ক করা হবে। আমি একটু আগেই মাহেশে এসেছি। মন্দির কমিটি আমাকে জানিয়েছে, বিগ্রহ রথে তুলতে এক ঘণ্টা লাগবে। আমি এক ঘণ্টা মন্দিরে অপেক্ষা করেছি। রথের দড়িতে টান দিয়েই চলে যাব। মিনিট দশেকের বক্তব্য রেখেই মুখ্যমন্ত্রী রথের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। ওই সময় ভিড়ের মধ্যে জনা কয়েক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেয়। কিন্তু পুলিস খুব তৎপরতার সঙ্গে তাদের সরিয়ে দেয়। আর মুখ্যমন্ত্রীও এদিন কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় কোন অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার দিকে রওনা দেন।