বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দখলে আছে। গত লোকসভা ভোটে উত্তর হাওড়ায় তৃণমূল ২৯০০ ভোটে পিছিয়ে পড়লেও এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড ছিল। এই ওয়ার্ডের দুর্গাপালের মাঠে তৃণমূলের একটি শহিদ বেদি রয়েছে। এদিন বিজেপির দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান ছিল। সেইমতো এখানে তৃণমূলের ওই শহিদ বেদিতে বিজেপি তাদের পতাকা ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের নেতাদের কানে খবর যেতেই তাঁরা সেখানে যান ও ওই পতাকা খুলে ফেলার চেষ্টা করেন। তখন বিজেপি কর্মীরা বাধা দেয়। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। তাতে এক মহিলা বিজেপি কর্মী সহ চারজন জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিস গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সারাদিনই ওই এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও এদিন ওই জায়গায় আর সদস্য সংগ্রহ অভিযান করতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির পতাকা খুলে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলের উত্তর হাওড়ার সভাপতি গৌতম চৌধুরি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে আমরাও শ্রদ্ধা করি। এদিন নবান্নেও তাঁর ছবিতে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মন্ত্রীরা। কিন্তু, তাঁর নাম ও তাঁর জন্মদিনকে ব্যবহার করে বিজেপি এদিন পরিকল্পিতভাবে উত্তর হাওড়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। তাদের কর্মসূচি তারা যে কোনও জায়গায় করতে পারত। কিন্তু, আমাদের শহিদ বেদিতে বিজেপি কর্মীরা পতাকা লাগিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহার অভিযোগ, আমরা পাশে এক জায়গায় এই কর্মসূচি করছিলাম। তৃণমূল সদস্য সংগ্রহে বাধা দিতেই এদিন হামলা করেছে। উত্তর হাওড়া তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় তারা অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।
এদিকে, এদিন হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান করেছে বিজেপি। এদিন হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোডে বিজেপির জেলা অফিসের সামনে সদস্য সংগ্রহ অভিযান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সংসদ সদস্য সুরেশ পূজারী এবং রাজ্য বিজেপির ওবিসি মোর্চার সভাপতি স্বপন পাল। স্বপনবাবু বলেন, এদিন প্রতীকীভাবে আমাদের সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এবার থেকে গোটা বছর ধরে সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। বিধানসভা ভোটের আগে বেশি সংখ্যক মানুষকে দলের সদস্য করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।