বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, কারও কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা গ্রিভান্স সেল, থানা বা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু, একটি অভিযোগও কাপুরুষদের করার ক্ষমতা হয়নি। এখানেই স্পষ্ট আমাদের দলের নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বিজেপির কিছু লোক চোরের মতো রাতের অন্ধকারে পোস্টার দিচ্ছে। আমরা প্রতিটি এলাকায় দলীয় কর্মীদের সজাগ থাকতে বলেছি। কারা এই পোস্টার দিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হবে। আসলে পুরসভা ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে পরিকল্পনা করে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরাও এর বিরুদ্ধে সজাগ আছি। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেছেন, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। এর সঙ্গে আমাদের দলের কারও সম্পর্ক নেই। আর শহরের তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে মানুষের কী ধারণা, তা এলাকায় ঘুরলেই বোঝা যাবে।
গত কয়েকদিন ধরেই হাওড়া শহরে এই পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। প্রথমে পুরসভার গেট ও নবান্নের কাছে এই পোস্টার দেওয়া হয়। এরপর উত্তর হাওড়া এলাকায় কিছু পোস্টার পড়ে। বুধবার বেলগাছিয়া এলাকায় এই পোস্টার দেওয়া হয়। এতে বিদায়ী পুরবোর্ডের তিন মেয়র পরিষদ সদস্য ও দুই তৃণমূল নেতার নাম দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও পোস্টারে শুধু কাউন্সিলারের নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রতিটি পোস্টারেই শুধু নেতাদের নাম ধরে ‘কাটমানি ফেরত চাই’ লেখা হয়েছে। কিন্তু, কারা পোস্টার দিয়েছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও এই নিয়ে শহরের মানুষের মধ্যেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এক পক্ষ যেমন মনে করছে, এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে, তেমনই অন্যপক্ষ মনে করছেন, প্রকৃত তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় পুলিসও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কারা পোস্টারগুলি দিচ্ছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিসের কর্তারা জানিয়েছেন।