বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সিঙ্গুরের বাসিন্দা দেবাশিস কোলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিযুক্তদের। অভিযোগ, তখন অর্ণব ও বাপি তাঁকে জানায়, তাদের সঙ্গে পূর্ব রেলের অফিসারদের সুসম্পর্ক আছে। চাইলে তারা রেলে চাকরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। এর জন্য প্রথমে আড়াই লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা ধাপে ধাপে দেওয়া হয়। পরে আরও ১৫ হাজার নেওয়ার পর রেলের লোগো লাগানো একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয় দেবাশিসবাবুকে। ধৃতরা ওই যুবককে বলে, মেডিক্যাল পরীক্ষার পরই তাঁকে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার ওই যুবক আর জি কর হাসপাতালে গেলে ওই দুই যুবক ফের পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর হাসপাতাল চত্বরে পুলিস কিয়স্কের সামনে দেবাশিসবাবু চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সেখানে থাকা পুলিস কর্মীরা ওই দুই যুবককে আটক করে। পুরো বিষয়টি জানার পর তাদের টালা থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে।
এদিন আদালতে মামলাটি উঠলে ধৃতদের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, তাঁর মক্কেলরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। অভিযুক্তরা ঘটনার শিকার মাত্র। যে কোনও শর্তে তাদের জামিন দেওয়া হোক। এই কথা শোনার পর পুলিস কোর্টে জানায়, ইতিমধ্যে মামলাকারীকে দেওয়া ভুয়ো নিয়োগপত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আরও কিছু কাগজ। বাকিদের খোঁজে এই দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া একান্ত জরুরি। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।