বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কাটমানি ইস্যুতে বিজেপি কর্মীরা এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ গোবরডাঙা পুরসভার সামনে জড়ো হন। একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল। আগে থেকেই পুরসভার সামনে পর পর দু’টি ব্যারিকেড করেছিল পুলিস। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। অভিযোগ, প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি বাধে। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙতে গেলেই পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে উঠে। তারপরই বিজেপি কর্মীরা ইট ও পাথর ছোঁড়ে এবং পুলিস পাল্টা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তারপরই জনতা ছত্রভঙ্গ হয়। জখম চারজন পুলিস কর্মীর মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, কাটমানি ইস্যুতে আমাদের শান্তিপূর্ণ স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু, পুলিস ও সিভিক মিলে আমাদের কর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়া হয়েছে। পুলিসের লাঠিচার্জে জখম হয়ে আমাদের ১০ জন মহিলা কর্মী বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বাকিরা হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর প্রতিবাদে আমরা রবিবার আমরা গোবরডাঙা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছি। অন্যদিকে, গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের গোবরডাঙা শহরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচির নামে বিজেপি আজ যে বিশৃঙ্খলা করল তা গোটা গোবরডাঙার মানুষ দেখেছেন। তারা পুলিসের উপরেও আক্রমণ করেছে। আসলে বিজেপির কোনও উন্নয়নের কর্মসূচি নেই। ওরা এই ধরনের গণ্ডগোল পাকিয়ে শান্ত গোবরডাঙাকে অশান্ত করতে চাইছে।
এদিকে, বারাসতের অতিরিক্ত পুলিস সুপার বি সি ঠাকুর বলেন, বিক্ষোভকারীরা আমাদের পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছুঁড়েছে। আমাদের চারজন পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন। তারপরই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।