Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের সফল কূটনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ 

বাস্তবিকই তাই। দ্বিতীয়বার জিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিপুল জনসমর্থনকে ভারতের বহির্বাণিজ্য ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ককে মজবুত করার কাজে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেকের অন্তর্গত সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সাংহাই কোয়াপারেশন অর্গানাইজেশনের এখনকার সভাপতি কিরঘীজ রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি মোক্ষম চাল দিয়েছেন। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আরেকটা উজ্জ্বল পালক। জুন ২৭-২৯-এই তিন দিন ব্যাপী জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আমরা দেখলাম ভারতের ‘সোবার পারফরম্যান্স’। তিন দিনে ২০টির বেশি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের রেকর্ড করে তিনি যেন চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে আরও তাতিয়ে দিয়ে গেলেন।
অবশ্য শুরুতে একটা সাফল্য ও প্রাপ্তি আসবে সেটা ভাবা যায়নি। বরং আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভারত ভেবেছিল স্পোর্টসম্যানের মতো বৈঠকে শামিল হওয়াটাই হবে একটা পজেটিভ বার্তা দেওয়া। ভাবটা হল, দেখা যাক কতদূর কী হয়। এর কারণ চীন মার্কিন বাণিজ্য-সংঘাত, যা থামার কোনও উল্লেখযোগ্য লক্ষণ এর আগে আমরা দেখিনি। এমনকী চলমান বাণিজ্য সংঘাতে এশিয়া ও ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির থেকেও জনসমর্থন পাওয়ার আশা ট্রাম্প করেছেন, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বাণিজ্যিক লেনদেন চীনের সঙ্গে অনেক বেশি। ফলে আশঙ্কার জায়গা হল, চীন বাণিজ্যে যত সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠবে ততই সে নিজের আধিপত্য ক্ষুদ্রাকার রাষ্ট্রগুলির উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করবে। এতে কেবল মুক্ত বাণিজ্যই নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতা, পছন্দ ও উদারনীতিবাদের পরিসরটাই বেমালুম হারিয়ে যেতে পারে। আশঙ্কার আরেক হেতু অবশ্যই ডলারের বিকল্প বিনিময় মুদ্রা আনতে চীনের তৎপরতা এবং তার সঙ্গে বেল্ট এন্ড রোডের পরিকল্পিত যোগসূত্র।
প্রসঙ্গত মনে পড়ে, সমাজতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ব্যবস্থাকে সমালোচনা করে লেখা ফ্রেডারিখ হায়েকের ‘দ্য রোড টু সার্ফডম’ বইটির কথা। সেখানে লেখকের ক্ষুরধার লেখনীর কল্যাণে উঠে আসে সর্বগ্রাসী সরকারের দ্বারা স্বাধীনতা হরণের প্রসঙ্গ। অনেকটা সেই বাঁধা বুলির জায়গা থেকেই যেন ট্রাম্প চীনের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এমনকী তাঁর যুক্তি হল সর্বগ্রাসী ব্যবস্থার আওতায় সমৃদ্ধি লাভ অপেক্ষা স্থবিরতা বরং শ্রেয়। তবে এই পারস্পরিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের আঁচ সামলে যদি আমরা স্থির ও খোলা মনে দেখার চেষ্টা করি তাহলে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কার্যকরী মুখ্য অধিকর্তা ক্রিস্টিন লেগার্ডের সঙ্গে সহমত না হয়ে উপায় নেই। তিনি যথার্থই সাবধানবাণী শুনিয়েছেন যে বিশ্ব অর্থনীতি সংকটপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই বিশ্লেষণের দুটো দিক রয়েছে। গভীরতর দিকটি হল বাজারনির্ভর নয়া-উদারনৈতিক ব্যবস্থার যে সংকট তা আদতে পশ্চিমি শক্তিসমূহের কাছে অশনিসংকেত, কারণ অর্থনৈতিক সংকটে ঘায়েল হলেও এশিয়ার অর্থনীতি কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার নিজস্ব শক্তিতে। উপরন্তু চীনের উত্থান প্রমাণ করে বিশ্ব অর্থনীতিকে পশ্চিমি শক্তি জোট একতরফাভাবে নিয়ন্ত্রণে অক্ষম। সুতরাং কাঁদন পালা গেয়ে যদি ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়। দ্বিতীয়ত, সাধারণভাবে কে বেশি, কে কম ক্ষতিগ্রস্ত সেই আলোচনায় না-গিয়ে লেগার্ডের বক্তব্য অনুযায়ী ফ্যাক্ট হল, বিশ্ববাজারে বৃদ্ধির গ্রাফ দ্রুত নিম্নগামী। ২০১৯-এ বহির্বাণিজ্যের যে ট্রেন্ড তা এক অর্থে তথৈবচ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তৈরি করে দেওয়া যে সব সূচক দেখে আমরা বলতে পারি, সেইসব অধিকাংশ ক্ষেত্রে তো বটেই, তাছাড়া বিমান মারফত পণ্য পরিবহণ, গাড়ির উৎপাদন ও বিক্রি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ইত্যাদি ক্ষেত্রে পতন নজর কাড়ার মতো। শুধু তাই নয়, সংকট সামলে বৃদ্ধির চাকা যে আবার গতিশীল হবে সে সম্ভাবনাও দূর অস্ত। কারণ ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা, ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে তেল বাণিজ্যের উপর। ফলে অবস্থার আশু উন্নতি না হলে অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির করাল ছায়া ঘনিয়ে আসবে একপ্রকার তা নিশ্চিত। অর্থনীতিবিদদের মতে বিশ্বায়নের দরুন চীন-মার্কিন বাণিজ্য সংঘাতের প্রভাব পড়েছে আপাত সমৃদ্ধিশালী সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলির অর্থনীতির ওপরেও। সেইসঙ্গে আমরা যদি বৃহত্তর প্রেক্ষিতে বিচার করি তাহলে দেখব ইতিমধ্যেই রিফিউজি সমস্যায় ইউরোপের অবস্থা বেশ কাহিল। তাছাড়া ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের পর থেকে অনেক ইউরোপীয় রাষ্ট্র, বিশেষত বান্টিক রাষ্ট্রগুলি নিরাপত্তার সংকটে ভুগছে। এমতাবস্থায় ট্রাম্প ইউরোপের সুরক্ষায় কতখানি আগ্রহী তা স্বয়ং দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্য! গোদের উপর বিষফোড়া ২৪ জুন থেকে ইরানের উপর আমেরিকা আরেক প্রস্থ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে অতি সম্প্রতি আসিয়ান সম্মেলনে নির্ধারিত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি থেকে পরিষ্কার তারা যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাঁবেদার হতে চায় না, তেমনি চীনের বিআরআই নিয়েও তাদের স্বতন্ত্র ভাবনা রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল জি-টোয়েন্টি কি পারবে এই জটিল ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক জাঁতাকল থেকে আমাদের মুক্ত করতে? এর উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা পিছনে ফিরে তাকালে দেখব, ১৯৯৯ সালে ১৯টি বৃহৎ ও সম্ভাবনাময় অর্থনীতিকে নিয়ে জি-টোয়েন্টির উদ্ভব হয়েছিল তদানীন্তন অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে। এর পিছনে ছিল দুটো প্রধান কারণ: (১) মেক্সিকো থেকে যে সংকট শুরু হয়ে আমেরিকায় আছড়ে পড়েছিল তার নিরসনে পশ্চিমি উন্নত অর্থনীতিগুলি ছিল অপারগ।
(২) যাতে ভবিষ্যৎ সংকটের মোকাবিলা করার জন্য যথাযথ তাল-মিল ও মেকানিজম গড়ে তোলা যায়। বস্তুত: জি-টোয়েন্টির প্লাস পয়েন্ট হল তাদের মধ্যে যেমন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমি শিল্পোন্নত রাষ্ট্র রয়েছে, তেমনি চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো সম্ভাবনাপূর্ণ রাষ্ট্রও রয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে এই ফোরামটির বার্ষিক অধিবেশনের কার্যকলাপে আমরা নতুন আশার বার্তা ও নির্ভরযোগ্য আশ্রয় পেয়েছি। আমরা দেখেছি সংকটকালে কীভাবে তারা রিকভারি প্ল্যান তৈরি করতে পেরেছে। এর অঙ্গ হল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার থেকে প্রয়োজনে অর্থ তোলার অধিকার, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলি যাতে প্রয়োজনীয় ধার দিতে পারে তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা, আন্তর্বাণিজ্যকে জোরদার করা এবং দরিদ্র রাষ্ট্রগুলির জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে অর্থ মঞ্জুরির ব্যবস্থা করা—সামগ্রিকভাবে যাতে উৎপাদনশীল ক্ষেত্রগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা যায় এবং সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে প্রণোদিত করা। আর এই প্রসঙ্গে আমাদের সাবধান হতে হবে যাতে সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে কোনও রাষ্ট্র যেন Beggar-thy-neighbour policy অনুসরণ না করে। অধ্যাপক হেনার ফ্লাসবেক ইউরোজোন সংকটের জন্য জার্মানির এ জাতীয় নীতিকে যেমন দায়ী করেছেন, তেমনি চীনের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক সাফল্যের চাবিকাঠি হল ডলারের সাপেক্ষে চীনা মুদ্রার বিনিময় মূল্যের হ্রাস এবং মজুরি বেঁধে দেওয়া, যাতে করে রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন তুলনামূলক বেশি সুবিধা পায়। কিন্তু চীনের এই একতরফা সুবিধা যে সামগ্রিক স্বার্থের অনুপন্থী নয়, সেদিকে নজর দেওয়া বা সাবধান হওয়া জরুরি। কিন্তু রেফারির মতো তা দেখবে কে? সেজন্য প্রয়োজন ডব্লুটিও-র নজরদারি। তবে কেবল পুলিসি নজরদারি—এতটা বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। যদিও এমন নজরদারি ক্রমশ জি-টোয়েন্টির বিবর্তনের মধ্যে প্রতীয়মান হয়ে উঠছে। যেমন ২০০৯-এর বৈঠকে ইরানের পরমাণু গবেষণার বিষয়টি এই ফোরামের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছিল। এ থেকে মনে হতেই পারে, এটি আদতে মার্কিন হেগেমনির ফাসাড। তবে বর্তমানে জি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার কারণ তার বৃহত্তর অঙ্গন, যা বহুপাক্ষিক আলোচনার মুক্তমঞ্চ। সেইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক মিলন তথা বৈঠকের আদর্শ প্ল্যাটফর্মও বটে। যেমন এবার আমরা দেখেছি বৈঠকের অবসরে মোদি সৌদি প্রিন্স, রাশিয়ার পুতিন, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, এমনকী কানাডার রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আপাত ফল নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে, কিন্তু এমন সৌহার্দপূর্ণ সাক্ষাতের সুযোগ কিন্তু দুর্লভ। সেই সঙ্গে সংকীর্ণ অর্থে জি-টোয়েন্টি কেবল অর্থনৈতিক হিসাব-নিকেশ বা দর কষাকষির মঞ্চ নয়। তবে বর্তমানে রাষ্ট্রপ্রধানদের অন্তর্ভুক্তির দরুন এর রাজনৈতিক তাৎপর্য প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এটা মনে করা বাহুল্য হবে না যদি বলি, বিশ্বে বিদ্যমান ক্ষমতা ভারসাম্যের উপর জি-টোয়েন্টি দাঁড়িয়ে আছে। শুধু কি তাই? লক্ষণীয় জি-টোয়েন্টি কোনও আমলাতান্ত্রিক গ্রুপ নয়, কোনও হেডকোয়ার্টাস ছাড়াই সে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এর কারণ অনুমান করে নিতে অসুবিধা হয় না, কেননা সহমতের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত হয় তার রূপায়ণ সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেবার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে প্রায়শ আমরা দেখেছি, জি-টোয়েন্টির মঞ্চকে সব সদস্য রাষ্ট্রই সদ্ব্যবহার করতে আগ্রহী। সেই সঙ্গে উল্লেখ্য বিশ্বব্যাপী জিডিপি-র ভাগের দিক থেকে জি-টোয়েন্টি অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে জি-সেভেনভুক্ত উন্নত রাষ্ট্রগুলির থেকে। এর একটা কারণ অবশ্যই এটা যে জি-টোয়েন্টি বেড়াজালে আবদ্ধ আপাত সুরক্ষিত জাতীয় অর্থনীতির থেকে মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক। যদিও এটাই মার্কিন অ্যাজেন্ডা, তথাপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যেন-তেন-প্রকারেণ বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই জি-টোয়েন্টির উদ্দেশ্য—এমনটা সহজে বলা যায় না। বরং ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও একতরফা পদক্ষেপ করবে, ততই তাকে বাকি সদস্যদের কছে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হবে। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব যত প্রবল হবে ততই রাশিয়া চীন শিবির নতুন অক্সিজেন পেয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
সুতরাং, আগামী দিনে বিশ্বরাজনীতিতে যদি মেরুকরণ ঘটে, তখন ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে ভারতের ডাক পড়বেই। তার জন্য তৈরি থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভারতকে বাদ দিয়ে এমনকী জি-টোয়েন্টির কোনও নতুন সংস্করণও গড়ে উঠতে পারে না। ভারতের এই উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ও সেই সঙ্গে গোপাল পিল্লাই। নরেন্দ্র মোদির সেই ক্যারিশ্মা না থাকলেও বৈদেশিক ক্ষেত্রে সফল ভূমিকা পালনের পটুত্ব তাঁর রয়েছে। তাই জি-টোয়েন্টির মঞ্চকে ব্যবহার করে সরাসরি অর্থনৈতিক কচকচির মধ্যে না ঢুকে তিনি বরং ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন ভ্রষ্টাচার রোধের চেষ্টার উপর গুরুত্ব দিয়ে।
 লেখক সিধো-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক 
04th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

এক বাস্তববাদী রাজনীতিকের নাম শ্যামাপ্রসাদ
হারাধন চৌধুরী

 নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার নিয়ে বিজেপি তিন দফায় ভারত শাসনের দায়িত্ব পেল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনও রাজনৈতিক দল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভার ভোটে বিজেপি ক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪-র থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং তিনশোর বেশি আসন দখল করেছে।
বিশদ

06th  July, 2019
চাকরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যাশিত দিশা দেখাতে পারল না নির্মলা সীতারামনেরও বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্তমান অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে আয় ও ব্যয় অন্তর্বর্তী বাজেটে যা ধরা হয়েছিল সেটাই অপরিবর্তিত রইল।
বিশদ

06th  July, 2019
চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, শ্রীলঙ্কা তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত। হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক। চীনের ঋণ একা দায়ী নয়। হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিশদ

05th  July, 2019
অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির।
বিশদ

02nd  July, 2019
রাজ্য মেধাতালিকা ও প্রান্তিক সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

 অনেকেই বলাবলি করেন: রাজ্যের মেধাতালিকায় কোথায় আর সুন্দরবন। কথাটা ঠিক নয়। ক্ষেত্রসমীক্ষা বলছে—মেধাতালিকায় সে-মাথায় দার্জিলিং তো এ-মাথায় সুন্দরবন। সদ্য বের হল জয়েন্টের মেধাতালিকা। পঞ্চম স্থানে অর্ক দাস। অর্কের শিকড় আসলে সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে। খোদ সুন্দরবনের জ্ঞানপীঠ বিদ্যায়তনে ওর প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ।
বিশদ

01st  July, 2019
এক জাতি, এক নির্বাচন, অনেক ভীতি
পি চিদম্বরম

 প্রধানমন্ত্রীকে আপনার বাহবা দিতে হবে যে সাধারণ মানুষের চিত্তবিক্ষেপ ঘটিয়ে দেওয়ার মতো ইস্যুগুলো তিনি খাড়া করে দিতে পারেন। তিনি এই বিষয়ে বাজি ধরেন যে বিরোধীরা বহু কণ্ঠে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সেগুলি সবসময় অকাট্য বা যুক্তিনির্ভর হবে না।
বিশদ

01st  July, 2019
অশান্তি ঠেকাতে পুলিসের একাংশের ভূমিকা অশান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
শুভা দত্ত

  পুলিসি দক্ষতা এবং সময়ানুগ সক্রিয়তা বজায় থাকলে অনায়াসে অনেক কিছুই সহজে মিটে যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রাণও বাঁচে। কিন্তু, মার ঠেকাতে গিয়ে যদি পুলিসই প্রাণঘাতী মারমুখী হয়ে ওঠে তবে তো বিপদ। সেই বিপদের আভাস মিলেছে। যতদূর খবর, বিপদ যাতে বাড়তে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে মমতা সরকার।
বিশদ

30th  June, 2019
কাটমানি ও শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

এক ফোঁটা গোচোনা যেভাবে গোটা বালতির দুধ নষ্ট করে দেয়, তেমনই তৃণমূলের মাতব্বরদের কাটমানি খেয়ে ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে ওঠা মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ভালো কাজে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির মূলেই কুঠারাঘাত করেছেন। তাঁর এই ‘শুদ্ধিকরণ’ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২১ সালটা হবে ইতিহাস সৃষ্টির বছর। রচিত হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ইতিহাস।
বিশদ

30th  June, 2019
রাজ্য মেধাতালিকা ও প্রান্তিক সুন্দরবন
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

অনেকেই বলাবলি করেন: রাজ্যের মেধাতালিকায় কোথায় আর সুন্দরবন। কথাটা ঠিক নয়। ক্ষেত্রসমীক্ষা বলছে—মেধাতালিকায় সে-মাথায় দার্জিলিং তো এ-মাথায় সুন্দরবন। সদ্য বের হল জয়েন্টের মেধাতালিকা। পঞ্চম স্থানে অর্ক দাস। অর্কের শিকড় আসলে সুন্দরবন সন্নিহিত অঞ্চলে। খোদ সুন্দরবনের জ্ঞানপীঠ বিদ্যায়তনে ওর প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ।
বিশদ

29th  June, 2019
বর্ষা মানেই ভরসা নয়
রঞ্জন সেন

 ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ গানটা পেরিয়ে বহুদূর চলে এসেছি আমরা। তবুও বর্ষা এলে ভালো লাগে, একটা স্নিগ্ধতা তৈরি হয় দেহমনে। রাস্তাঘাটে জমা জলের দুর্ভোগ, বাড়ি থেকে বেরতে না পারা, কাজকর্ম পণ্ড হওয়া সবকিছু ছাপিয়ে আমাদের মন মেঘের সঙ্গী হতে চায়। কিন্তু বাস্তবের কাছে কল্পনার কোনও প্রশ্রয় নেই।
বিশদ

29th  June, 2019
পুরনো রাজনীতি নতুন প্যাকেজ
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা আশা, নিরাশা, প্রত্যাশা, আশঙ্কা কিংবা অস্বস্তি কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এই প্রথম বহু বছর পর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সম্পূর্ণ অন্য এক চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যে পদার্পণ করতে চলেছে এরকম একটা অনুমান কিংবা ধারণা হয়েছিল। যেটা ছিল অচেনা। তাই একইসঙ্গে ছিল আশা ও আশঙ্কা।
বিশদ

28th  June, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মেরুদণ্ড সোজা রেখে দেশের লোকপালের দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ। শনিবার দেশের প্রথম লোকপাল অর্থাৎ, ‘নাগরিকের রক্ষাকর্তা’ হিসেবে ...

 ওয়াশিংটন, ৬ জুলাই (পিটিআই): কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবারই প্রথম বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারামন। আর তাঁর এই বাজেট পেশ নিয়ে বিরোধীরা নানাভাবে সমালোচনা শুরু করেছেন। তবে মার্কিন কর্পোরেট মহল ভারতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে। ...

নয়াদিল্লি, ৬ জুলাই (পিটিআই): নবীন উদ্যোপতিদের (স্টার্ট আপস) উৎসাহ দিতে এবার বাজেটে ঢালাও সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এরপরেও স্টার্ট আপ নিয়ে অনেক আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। প্রথমত, ব্যবসা শুরু করেই স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে আয়কর নোটিসের সম্মুখীন হতে ...

কৌশিক ঘোষ, কলকাতা: দক্ষিণ ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর সাব্রুম পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হতে চলেছে। এর ফলে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ঩বিদেশ থেকে পণ্য আদান-প্রদান করার সুযোগ পাবে। সাব্রুমে ফেনি নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু

06th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৭৫ টাকা ৬৯.৪৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭২ টাকা ৮৭.৯১ টাকা
ইউরো ৭৫.৯৫ টাকা ৭৮.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  July, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৪,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,১৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৬৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ৬ জুলাই ২০১৯, শনিবার, চতুর্থী ২০/২৩ দিবা ১/১০। মঘা ৪২/৫৩ রাত্রি ১০/১০। সূ উ ৫/০/৫৪, অ ৬/২১/২২, অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২০ গতে ১/২৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি।
২০ আষাঢ় ১৪২৬, ৬ জুলাই ২০১৯, শনিবার, চতুর্থী ২৮/৪৯/৪৫ অপঃ ৪/৩২/৪৫। মঘানক্ষত্র ৫২/৫৯/৪১ রাত্রি ২/১২/৪৩, সূ উ ৫/০/৫১, অ ৬/২৩/২৬, অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৫/১ মধ্যে, বারবেলা ১/২২/২৮ গতে ৩/২/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪১/১০ মধ্যে ও ৪/৪৩/৭ গতে ৬/২৩/২৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪৩/৭ মধ্যে ও ৩/৪১/১১ গতে ৫/১/১৪ মধ্যে।
 ২ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। বৃষ: প্রেম-প্রীতিতে ভালোমন্দ মিশিয়ে চলবে। মিথুন: কর্মে যশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৪৫৬: মৃত্যুর ২৫ বছর বাদে জোয়ান অব আর্ককে ধর্মনিন্দার অভিযোগ ...বিশদ

07:03:20 PM

আফগানিস্তানের ব্যস্ত বাজারে মর্টার হানা, মৃত ১৪, জখম ৪০
 কাবুল, ৬ জুলাই (পিটিআই): ব্যস্ত আফগান বাজারে অতর্কিত মর্টার হামলায় ...বিশদ

08:21:00 PM

দায়িত্ব বাড়ল বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের  
দায়িত্ব বাড়ানো হল বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

05:00:00 PM

১২৮৪১ হাওড়া-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস আজ সন্ধ্যা ৬:৫০ মিনিটের বদলে রাত ৮টার সময় হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে

04:04:00 PM

মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিলিন্দ দেওরা 

03:44:00 PM