বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এ বিষয়ে সব্যসাচী দত্ত এদিন জানান, আমি মেয়র হিসেবে সেখানে যাইনি, ওই ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে যোগ দিয়েছি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমাদের কর্মীদের ১০ পয়সাও মাইনে বাড়েনি। অথচ ২০১৬ সালের পর থেকে বাড়িতে বিদ্যুতের মিটারের বিল বেড়েই চলেছে। কর্মীরা সেই বিল কোথা থেকে দেবে? এটা একটা কর্পোরেশন আমরা রাজ্য সরকার বা অন্য কারওর কাছে অনুদান চাইছি না। বলছি আমরা (কর্মীরা) পর্ষদকে যে আয় করে দিচ্ছি সেখান মাইনে অনুযায়ী অনুপাতের হারে বেতন বাড়ানো হোক। নতুন চেয়ারম্যান এসেছেন এক মাস সময় দিয়েছি তাঁকে। তারপরও না হলে আন্দোলনের পথ-ই পথ দেখাবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সব্যসাচী আমাদের দলের লোক। ও বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে হাঙ্গামা না করে আমাকে জানাতে পারত। প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারত। শুনলাম কাচও ভাঙা হয়েছে। আবার শুনলাম সব্যসাচী মন্তব্য করেছে, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে নিক, সে শ্রমিকদের পক্ষে থাকবে। গোটা বিষয়টি দলকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সাধরণ সম্পাদক অরিজিৎ দত্ত জানান, পিডিসিএল, ডিসিএল ও টিসিএলের ৫ হাজার কর্মী এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিদ্যুৎ ভবনের ভিতরে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না, আমরা এই আইন আজ ভেঙেছি। বিক্ষোভে আমাদের স্থায়ী কর্মীরা বেশিরভাগ ছিলেন। সঙ্গে অল্পসংখ্যক অস্থায়ী কর্মীও ছিলেন। সারা ভারতের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে ডিএ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের এখানে পে কমিটিই হয়নি। আমরা ২০১৬ সালের অক্টাবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ পেয়েছি। চার বছর ধরে ডিএ বন্ধ।
এদিকে, এদিন বিজেপি প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কর্মচারী পরিষদ রাজ্যে পে কমিশনের সুপারিশ অলিম্বে পেশ করার দাবিতে ময়ূখভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। কয়েকশো সমর্থক সেখানে ছিলেন। পরে এক প্রতিনিধিদল কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসে। সংগঠনের সভাপতি অমিয় সরকার বলেন, আগামী দিনে পে কমিশনের দাবিতে আরও বড় ধরনের আন্দোলনে নামব।