কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এনটিএ গঠিত হওয়ার আগে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন (ইউজিসি), সেন্টার বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং জেএনইউ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষার আয়োজন করত। যেমন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইউজিসি-নেট ও নিটের আয়োজন করত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সিবিএসই। তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের পর থেকে এপর্যন্ত এনটিএ ১২টি পরীক্ষার আয়োজন করেছে। প্রায়ই এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ২০২৪ সালে বিহার, গুজরাতে প্রশ্নফাঁস এবং নিট-ইউজিতে রহস্যজনক গ্রেস নম্বরের পরে এনটিএর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই এনটিএর প্রধানকে ছেঁটে ফেলেছে কেন্দ্র। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়েছে। তাসত্ত্বেও মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা থাকতে কেন কার্যত একটি ‘বেসরকারি সোসাইটিকে’ এত বড় দায়িত্ব দেওয়া হল? চাঞ্চল্যকর সমস্ত অভিযোগের দায় কি মোদি সরকার এড়াতে পারে? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে কি গা বাঁচানোর চেষ্টা করল তারা? প্রসঙ্গত, প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ঠেকাতে আইনও কড়া করা হয়েছে। তাতে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ কোটি টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু, সাম্প্রতিকতম অভিযোগগুলিতে কেন নয়া আইন থেকে বাদ দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে পরীক্ষার্থী, শিক্ষক মহল থেকে বিরোধীরা।
এদিকে, নিট দুর্নীতির তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। প্রতিদিনই নতুন নতুন নাম, অনিয়মের যুক্ত থাকার কোচিং সেন্টারের হদিশ মিলছে। তালিকায় নাম রয়েছে মহারাষ্ট্রের লাটুরের বাসিন্দা ইরানা কোংগালওয়ারের। নিট দুর্নীতে নাম প্রকাশ্যে আসতেই পরিবার নিয়েই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নানদেদের একটি ইনস্টিটিউটে পড়াতেন ইরানা। গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। ইরানার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমে লাটুরের আরও দুই কোচিং মালিককে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। তাঁদের নাম সঞ্জয় তুকারাম যাদব ও জালিল উমরখান পাঠান। অভিযুক্তদের ফোন থেকে একাধিক নিট পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির এজেন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ভালো ফল নিয়ে আলোচনা করেছে যাদব ও পাঠান। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।