নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জীবন বিমা সংস্থাগুলির কাছে এমন কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে, যার দাবি জানাচ্ছেন না কেউ। ক্লেম-না-করা বা দাবিদারহীন সেই টাকা যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে সংস্থাগুলির কাছে। এই টাকা ফেরতের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করতে উদ্যোগী হয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)। এই কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, যে বিমা পলিসিগুলির জমা টাকা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাগুলিতে পড়ে রয়েছে অথচ ক্লেম করা হচ্ছে না, সেগুলির সবিস্তার তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি বছরে দু’বার তাদের ওয়েবসাইটে ‘আপলোড’ করবে। প্রতিবছর ৩১ মার্চ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর এই কাজ তাদের করতে হবে। ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে হবে, দাবি-না-করা পলিসিগুলির নম্বর, পলিসি ক্রেতার নাম, তাঁর জন্ম তারিখ এবং প্যান সংক্রান্ত তথ্য। এর ফলে পলিসের ক্রেতা অথবা নমিনি এই তথ্যগুলি থেকে তাঁদের পলিসিগুলি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সেইমতো প্রমাণ পেশ করে টাকার দাবি করতে পারবেন। যদি দেখা যায়, এই কাজগুলি করার পরও দশবছর ধরে সেই অনাদায়ী টাকার দাবি কেউ করেননি, তাহলে তা সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার ফান্ডে স্থানান্তরিত করা হবে।
দশবছর পূর্ণ হওয়ার পর, পরবর্তী ৩০ সেপ্টেম্বর ওই টাকা পৌঁছতে হবে সংশ্লিষ্ট ফান্ডে। তবে ওই তহবিলে টাকা জমা হওয়ার পরেও তার উপর অধিকার থাকবে পলিসি গ্রাহক বা তাঁর নমিনির। দাবিদারহীন টাকা যেদিন থেকে পৌঁছবে সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার ফান্ডে, তারপর ২৫ বছর পর্যন্ত সেই টাকার দাবি করতে পারবেন পলিসির ক্রেতা বা তাঁর নমিনি। তারপরও যদি ওই টাকার দাবিদার কেউ না থাকে, তাহলে টাকাগুলি তুলে দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আইআরডিএ কর্তাদের দাবি, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে কমানো যাবে দাবিদারহীন টাকার পরিমাণ। পাশাপাশি, পলিসির ক্রেতা বা তাঁর নমিনির পক্ষেও ওই টাকা দাবি করা সহজ হবে।