ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩৫ বিঘা এলাকা জুড়ে এই খামার রয়েছে। মূলত বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা উন্নত জাতের বীজধান এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়। তারপর নানা প্রক্রিয়ার পর তা চাষিদের বিক্রি করা হয়। খামারের মধ্যে কয়েক বিঘা জায়গাজুড়ে ধানচাষ করা হয়। ধানচাষ সম্পর্কে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানে ডালশস্য, সর্ষে প্রভৃতি চাষ করা হয়। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা কৃষি সংক্রান্ত নানা পরামর্শ নিতে আসেন। কিন্তু, সরকারি উদাসীনতায় গুরুত্বপূর্ণ এই খামারটির এখন বেহাল দশা। এর আগে নানা কাজের জন্য ১৪ জন স্থায়ী কর্মী এবং বেশকিছু ক্যাজুয়াল কর্মী ছিলেন। একে একে তাঁরা অবসর নেওয়ায় কিংবা বদলি হওয়ার জন্য এখন স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা পাঁচজন। তাঁরা কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তবে আরও পাঁচজন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও তাঁদের সেভাবে কোনও কাজ নেই। তাঁরা কার্যত বসে বসে বেতন পান বলে অভিযোগ। এদিকে কোটি কোটি টাকায় গড়ে ওঠা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। যেমন রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্পে বীজ সংশোধনাগার, শোধন করা বীজের গোডাউন, সারের গোডাউন, পরীক্ষাগার সবেরই বেহাল অবস্থা। বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে। তার মধ্যে উঠেছে গাছ। কর্মীর অভাব, তার উপর কেউ না থাকায় আবাসনগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, খামারের মধ্যে আবহাওয়া পরিমাপ এবং রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আরকেভিওয়াই প্রকল্পে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পরিমাপ কেন্দ্র বা অটোমেটিক ওয়েদার স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তাও ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেটি এখন কোনও কাজ করে না। বিভিন্ন সময়ে কৃষি বিষয়ক নানা আলোচনাসভা বা কোনও কর্মসূচির আয়োজন করার জন্য একটি কমিউনিটি হল গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই কমিউনিটি হল ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে সেই কেন্দ্রটিকে পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের নানা জিনিসপত্র বহন করার জন্য একটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। কিন্তু চালক নিযুক্ত না হওয়ায় সেই গাড়ি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। সমস্যা আরও আছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, কাঁথি মহকুমার অন্যতম গর্বের এই কৃষিখামার। কিন্তু, এর নানা সরকারি সম্পত্তি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এই কেন্দ্রের হাল ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। এর ফলে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন। এবিষয়ে জেলা কৃষি অধিকর্তা (শস্যসুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, আমরা সমস্যার কথা জানি। ওই ফার্মের এলাকার মধ্যে মহকুমা কৃষি দপ্তরের নতুন অফিস গড়ে তোলা হবে। একইসঙ্গে সেখানে ব্লক কৃষি দপ্তরের অফিস গড়া হবে। এছাড়া যে পরিকাঠামোগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তা নতুন করে তৈরির করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খামারটিকে ঢেলে সাজার কথা মাথায় রেখেই আমরা এগব।