ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা রামকৃষ্ণ সর্দার বলেন, মূলত সরকারি জলাশয়গুলি সংস্কার করার ব্যাপারেই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা আরও কীভাবে, কোথায় মাছের উৎপাদন বাড়ানো যায়, মৎস্যজীবীদের জন্য কী করা যায়, তা দেখব। তাছাড়া, পাট পচানোর উপর নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে মাছের উৎপাদন কখনওই বাড়ানো সম্ভব হবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন নদীর অংশে কী কী মাছ পাওয়া যায়, কত মৎস্যজীবী রয়েছেন, তার পরিসংখ্যান সংগ্রহে নেমেছে জেলা মৎস্য দপ্তর। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, একটা সময় বিভিন্ন জলাশয়ে চন্দনা ইলিশ, ট্যাংরা, বাছা, পুঁটি, ময়া, গড়চা, ফাঁসার মতো মাছ পাওয়া যেত। এখন এই সমস্ত মাছের দেখা পাওয়াই কঠিন। তারজন্য একটি সমীক্ষা চলছে। যার মাধ্যমে আমরা জানতে পারব, আদৌ ওইসব মাছ পাওয়া যায় কি না, পেলে কোন জায়গায় তা পাওয়া যায়। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এমনিতে ভাগীরথী, জলঙ্গি নদী বেষ্টিত এই জেলায় মাছ চাষের বা মাছ ধরার উপর নির্ভর করেন বহু মানুষ। মাছের চাহিদা অনুযায়ী জেলায় মাছ উৎপাদনও হয়। ২০১৮-১৯ সালে মাছের চাহিদা ছিল ১০০০৬৯ টন, আর মাছ উৎপাদিত হয়েছে ১০৭৪৬৯ টন। চাহিদা পূরণ হলেও মাছের উৎপাদন আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে মৎস্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, জেলায় মোট মৎস্যজীবীর সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। মৎস্য দপ্তরের একটি সূত্রে খবর, জেলায় পাঁচ হাজার একরের বেশি জায়গাজুড়ে সরকারি জলাশয় রয়েছে। এর আগে ১০০ দিনের কাজে শুধুমাত্র নতুন পুকুর কাটা যেত। কিন্তু এখন ১০০ দিনের কাজে জলাশয় সংস্কারও করা যাবে। মৎস্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই সংস্কারের কাজ যত দ্রুত শুরু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।