ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে ড্রাগন ফ্রুট চাষের পরামর্শ দেন। এই ফলের খোসার রস থেকে প্রাকৃতিক রং তৈরি করা যায় কি না সেটাও তিনি খতিয়ে দেখতে বলেন। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই ফলের বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যায়।
শপিং মলগুলিতে এই ফল এখন বেশি বিক্রি হয়। এই ফলের প্রচুর গুণ রয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, ১০০ গ্রাম ওজনের এই ফলে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। ভিটামিন-সি থাকায় এই ফল খেলে ত্বক চকচকে হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের জলবায়ুতে এই ফল চাষ সম্ভব। এর আগে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল সহ আরও বেশ কিছু ব্লকে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে ড্রাগন ফ্রুট চাষে সাফল্য না এলেও পরে চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মুশির্দাবাদ জেলা প্রশাসন ১০০ দিনের কাজে আপেল এবং আমবাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে। সাগরদিঘিতে আপেল গাছ বসানোর প্রস্তুতি চলছে। একটি সংস্থার সঙ্গে তা নিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। এই জেলার অনেক যুবক কাশ্মীরে আপেল বাগানে কাজ করেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপণ করে ম্যাঙ্গো পার্ক তৈরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের দাবি, ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য অনেক পঞ্চায়েত আগ্রহ দেখিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শের পরই এই ফল চাষে উৎসাহ বেড়ে গিয়েছে। আগে এই জেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকজন কৃষক এই ফল চাষ করেছেন। ফলে মুর্শিদাবাদে ড্রাগন ফ্রুট চাষে সাফল্য নিয়ে আধিকারিকদের মধ্যে সংশয় নেই।