ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নোডাল অফিসার জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, রুখাশুখা বাঁকুড়ায় অল্প জলে বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করে স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছিলাম। তারমধ্যে ফল ও ফুল চাষে সাফল্য মিলেছে। তাই আমাদের সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই আমরা মাটি পরীক্ষা করে মানচিত্র প্রকাশ করেছি। আগামীদিনে এই মানচিত্র ধরেই আমরা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে ফল ও ফুলের বাগান গড়ে তোলার উপর জোর দেব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে উৎপাদিত আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। তার আগেই এই জেলার উৎপাদিত আঙুর প্রশংসা পেয়েছে। পাশাপাশি মোসাম্বি, আপেল, বেদানা, কলা ও পেয়ারার উৎপাদন করে সাফল্য মিলেছে। একইসঙ্গে গোলাপ, পদ্ম ও জবা ফুলের বাগানও সফলভাবে তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রকাশ করা মানচিত্র অনুযায়ী, ২২টি ব্লকেই আম চাষের উপযোগী মাটি রয়েছে। জেলার সারেঙ্গা, খাতড়া ও তালডাংরা ব্লক বেদানা চাষের জন্য আদর্শ বলা হয়েছে। সিমলাপাল ও ওন্দা ব্লক আপেল, গঙ্গাজলঘাটি, বড়জোড়া, ওন্দা, ইন্দপুর, রাইপুর, সারেঙ্গা, তালডাংরা ব্লক পেয়ারা চাষের উপযুক্ত। রানিবাঁধ, রাইপুর, খাতড়া, বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া-২ ব্লক কাজু চাষের পক্ষে আদর্শ। সিমলাপাল, খাতড়া, রাইপুর সোনামুখী, গঙ্গাজলঘাটি ও তালডাংরা ব্লক আঙুর চাষের উপযোগী বলে জানানো হয়েছে। মেজিয়া, গঙ্গাজলঘাটি, বড়জোড়া, ওন্দা, রাইপুর ও ছাতনা ব্লক মোসাম্বি চাষের আদর্শ বলা হয়েছে। ছাতনা, সোনামুখী, ইন্দাস, জয়পুর, কোতুলপুর, খাতড়া ও তালডাংরা ব্লক কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। রানিবাঁধ ব্লকে চা ও সিমলাপাল এবং তালডাংরা কফি চাষের যোগ্য বলা হয়েছে। জেলার বড়জোড়া, পাত্রসায়র, বিষ্ণুপুর ও হীড়বাঁধ ছাড়া সমস্ত ব্লকের মাটি গোলাপ চাষের উপযোগী। সিমলাপাল, সারেঙ্গা, ছাতনা ও জয়পুর ব্লক বাণিজ্যিকভাবে জবাফুল চাষের উপযোগী বলে মানচিত্রে বলা হয়েছে। এছাড়াও বাঁকুড়ায় জলপাই, ড্রাগন ফ্রুট, এলিফ্যান্ট আপেল, পেপে, পাতিলেবু চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনের মত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় প্রায় ১৪৭ হেক্টর জমিতে আম, ৩৪ হেক্টর জমিতে পেয়ারা, ১৬ হেক্টর জমিতে মোসাম্বি, ৩ হেক্টর জমিতে বেদানা, ৪ হেক্টর জমিতে আঙুর, ১৮ হেক্টর জমিতে জলপাই, ২ হেক্টর জমিতে কফি, ৮ হেক্টর জমিতে গোলাপ, প্রায় দেড় হেক্টর জমিতে চা, ২৩ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম, চার হেক্টর জমিতে পাতিলেবু, পাঁচ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলার চাষ চলছে। তালডাংরার চাষি জয়দেব পাত্র বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে ফলের বাগান করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়। কিন্তু কী ফলের গাছ লাগাব এবং সেই গাছ আমাদের এলাকায় হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু কৃষি দপ্তরে গিয়ে প্রশাসনের ম্যাপ দেখার পর মোসাম্বি ও বেদানার বাগান তৈরির জন্য গাছ লাগিয়েছি।