কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
মায়াপুর থেকে গড়ের ঘাট মহকুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বাস, লরি, মোটরভ্যান এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুল, কলেজ, বাজার যেতে পারেন না। প্রায় তিন দশক ধরে এলাকার বাসিন্দারা জগদীশতলা থেকে গড়ের ঘাট পর্যন্ত ৬০০ মিটার রাস্তা উঁচু করার দাবি জানাচ্ছেন। পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন, পূর্তদপ্তর, মহকুমা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানানো হয়েছে। তারপরেও দাবি পূরণ হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা এদিন সকালে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
গ্ৰামবাসী কালীকৃষ্ণ মান্না বলেন, বর্ষা এসে গেছে। প্রতি বছর বর্ষার সময় এলাকার ৬০০ মিটার রাস্তা জলের তলায় চলে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা স্কুল, কলেজ, বাজার যেতে পারেন না। বাজারে আনাজপাতি ঢুকতে না পারায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে দীর্ঘদিন রাস্তা উঁচু করার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিন আমরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাই। স্থানীয় টোটো চালক প্রসেনজিৎ দলুই বলেন, বর্ষার সময় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় জল জমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের রুটি রোজগারে টান পড়ে। রাস্তাটি অবিলম্বে উঁচু করা হোক। পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অশোক কাজি বলেন, বর্ষার সময় রাস্তার ওই অংশটি জলের তলায় চলে যায়। এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েন। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতায় এলাকার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। গ্ৰামবাসীদের বিক্ষোভে এদিন আমিও শামিল হয়েছিলাম। পঞ্চায়েত প্রধান টুম্পা হাজরা বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে ব্লক প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও মহকুমা শাসকের দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাস্তাটি উঁচু করা দরকার। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, দাবিদাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।