গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৬.৯০ শতাংশ। পঞ্চম দফায় অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সাধারণ মানুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, সকাল থেকে ভোট দিয়েছেন। দুপুরে গরমের কারণে ভিড় কম থাকলেও বিকেলের পর ফের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। উনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা ভোটের মতো চব্বিশে বিজেপির হাওয়া আরামবাগে এবার দেখা যায়নি। সন্দেশখালি তাস বুমেরাং হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি অরূপকান্তি দিগারের প্রচারে আরামবাগে অল্প সময়ের মধ্যে দু’বার এসেছেন। বিজেপির তরফে আধুনিক ও শক্তিশালী ভারতের রূপকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে এনে প্রচারও চালানো হয়। সেই প্রচারের ফলাফল জুন মাসের ৪ তারিখে জানা যাবে। ভোট পর্ব মিটতেই বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি ও সন্দেশখালির মতো ঘটনার প্রতিবাদে মানুষ এবার রায় দিয়েছেন। বিজেপি আরামবাগে নিশ্চিত জয়লাভ করবে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, উন্নয়নের নিরিখে এবার এখানে ভোট হয়েছে। সবুজ শিবিরই এবার শেষ হাসি হাসবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, উনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছিল। চব্বিশের ভোটে সে একই ফল না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাজ্য সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্প এবারের ভোটে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে। বিধানসভা ভিত্তিক ভোট শতাংশের নিরিখে প্রার্থীদের জয় পরাজয়ের নির্ধারিত হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আরামবাগ বিধানসভায় ৭৬.৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুরশুড়ায় ৭৮.৬০ শতাংশ, গোঘাটে ৮০.৪৫ শতাংশ, খানাকুলে ৭২.৮৯ শতাংশ, তারকেশ্বরে ৮০.৭৩ শতাংশ, হরিপালের ৬৮.৮৯ শতাংশ ও চন্দ্রকোণায় ৮০.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এক পোড়খাওয়া নেতা বলেন, তারকেশ্বর, হরিপাল, চন্দ্রকোণা ও আরামবাগে আমরা বিপুল মার্জিনে এগিয়ে থাকব। খানাকুল-২ ব্লক, গোঘাট ও পুরশুড়ায় মার্জিন কিছুটা কম হতে পারে। সিপিএম প্রার্থীর ভোট কাটাকাটির যে তত্ত্ব বলা হচ্ছিল তা এখানে খুব একটা প্রভাবে ফেলবে না।
বুথগুলিতে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মহিলারা ভোট দিয়েছেন। মহিলাদের ভোট তৃণমূলের বাক্সেই পড়েছে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি করার চেষ্টা করেছিল, তবে সুবিধে করতে পারেনি। তৃণমূল প্রার্থী এখানে বিপুল মার্জিনে জয় লাভ করবে। বিজেপির হাওড়া হুগলি বিভাগীয় কনভেনার সুশান্ত বেরা বলেন, ভোট যেভাবে হয়েছে তাতে আমরা খুশি। মানুষ ভোট দিতে পেরেছন। বিজেপি প্রার্থী এখানে নিশ্চিত ভাবে জয়লাভ করবেন। হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে সার্বিকভাবে আমাদের ভোট বাড়বে।