গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, হাতির সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে সদস্যদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না। প্রধানমন্ত্রী এলেন, কিন্তু হাতির সমস্যা নিয়ে একটা কথাও বললেন না। তাই মানুষ বিজেপিকে একটাও ভোট দেবেন না। তিনি আরও বলেন, এলাকার ১০টি ঘাতক হাতিকে চিহ্নিত করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। মাত্র ১টি হাতি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় বর্তমানে সব থেকে বড় সমস্যা হল হাতি। হাতির আতঙ্ককে সঙ্গী করেই মানুষ জীবনযাপন করছেন। শুধু ঝাড়গ্রাম বনবিভাগ এলাকায় গত এক বছরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে জেলায় খড়গপুর ও মেদিনীপুর ডিভিশনের অংশ রয়েছে। সেই এলাকাগুলিতেও হাতির হানায় ক্ষতি হচ্ছে। হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়েছে রাজ্য। একইসঙ্গে হাতির আক্রমণের জেরে বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষতিও হয়। জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে শুধু ঝাড়গ্রাম বনবিভাগ এলাকায় হাতির হানায় ২৬৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের তরফে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণে আবেদন জমা পড়েছে। কয়েক মাস আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে হাতির সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। জেলায় সবচেয়ে বেশি ধানের ক্ষতি হয়েছে। মাঠে ছাড়াও বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে ধান সাবাড় করেছে হাতি। অথচ চুপ কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা এলাকার বাসিন্দা সুদেব মাহাত বলেন, হাতির সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই সমস্যার জন্য কিছুই করেনি। গ্রামে গ্রামে এসে বিজেপির নেতারা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু আগের বারের ভুল আর করব না। আমাদের সমস্যায় সবসময় পাশে থাকে রাজ্য সরকার।
এক তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি ভোটের আগে কোনও ইস্যু খুঁজে না পেয়ে হাতি নিয়ে প্রচার করছে। অপরদিকে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যা প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, হাতি নিয়ে মানুষ খুব সমস্যায় আছেন। ক্ষতিপূরণের টাকাও পাচ্ছেন না। বাড়ি ঘর ভাঙলেও রাজ্যের তরফে কোনও সহযোগিতা নেই।