সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কোচবিহার শহরের অধিকাংশ সরকারি দিঘির চারপাশ দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সরকারি দিঘির পাশাপাশি অনেক ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ফলে রাজার শহর কোচবিহারে অনেক দিঘির আজ আর কোনও অস্তিত্বই নেই। দিনকে দিন সরকারি ও বেসরকারি দিঘিগুলির চারধার জবরদখল হচ্ছে। তবে এবার দিঘি রক্ষায় উদ্যোগী হল মহকুমা প্রশাসন। দিঘির চারধারের দখলদারি রুখতে এবং যেসব দিঘির চারপাশ জবরদখল হয়ে গিয়েছে সেগুলিকে দখলমুক্ত কারতে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল কোচবিহার মহকুমা প্রশাসন। পাশাপাশি শহরের দিঘিগুলি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিতে পুরসভাকে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার পুর এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি যেসব দিঘি ও জলাশয় আছে সেগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে মহকুমা শাসকের দপ্তর। সেই সমীক্ষায় শহরের অধিকাংশ দিঘির চারধার জবরদখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। ওই সমীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ১০টি দিঘি চিহ্নিত করা হয়েছে। তারমধ্যে যমুনা দিঘি, নরসিংহ দিঘি, কাইয়া দিঘি, রাজমাতা দিঘি, শিবদিঘি, লালদিঘি, ধোপাদিঘির মতো দিঘির নাম উঠে এসেছে। পুরসভাকে জবরদখল হটাতে নোটিস জারি করতে বলা হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকায় থাকা দিঘিগুলি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্যও পুরসভাকে নোটিস জারি করতে বলা হয়েছে। যদি সঠিকভাবে মালিকপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ না করে সেই ক্ষেত্রে পুর আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে শহরে যেসমস্ত দিঘি রয়েছে সেগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। শহরের হাতেগোনা কয়েকটি দিঘির পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও অধিকাংশ দিঘি জবরদখল হয়ে আছে। ওসব হটাতে হবে। সংস্কারও করতে হবে। আমরা পুরসভায় চিঠি পাঠিয়েছি। শহরের যেসব দিঘি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীনে রয়েছে তাদেরও চিঠি পাঠানো হয়েছে যাতে তারাও যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে আমরা এখনও কোনও চিঠি পাইনি। শহরের জলাশয়গুলি ঠিকঠাক রাখার জন্য আমরা সর্বদাই সচেষ্ট।