দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ১০০ দিনের প্রকল্পের আওতায় কোনও কাজ শুরু করার আগে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকেও একটি অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ইংলিশবাজার ব্লকের যদুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু কাজ ১০০ দিনের প্রকল্পে তৎকালীন জেলা নোডাল অফিসারের সই জাল করে বের করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কিছু মহল থেকে অভিযোগ জমা পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপরই দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠকে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) এবং ১০০ দিনের কাজের বর্তমান জেলা নোডাল আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তীকে অভিযোগের তদন্ত করতে বলেন জেলাশাসক। তদন্তে দেখা গিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ওই ধরনের কোনও কাজেরই অনুমোদন দেয়নি জেলা প্রশাসন। পুরো বিষয়টিই ভুয়ো। যে মেমো তৈরি করা হয়েছে, তাতে তৎকালীন নোডাল আধিকারিকের সইটি সম্ভবত স্ক্যান করে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরই ইংলিশবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরিকে থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, একটি অস্তিত্বহীন মেমো ব্যবহার করে ১০০ দিনের প্রকল্পে কিছু কাজ তৈরির চেষ্টা সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করা হয়। ওই ভুয়ো মেমো নিয়ে পুলিসের কাছে প্রশাসনিকভাবে এফআইআর’ও দায়ের করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভুয়ো মেমোর মাধ্যমে রাস্তা, মাটি সহ প্রায় ৭০ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার কাজ করানোর চেষ্টা চলছিল। তার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বলেন, যেহেতু পুরো বিষয়টি আগেই ধরা পড়ে গিয়েছে তাই ওই ভুয়ো মেমোতে উল্লিখিত কোনও কাজ এখনও শুরুই হয়নি। সরকারি অর্থও বেঁচে গিয়েছে।