দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক পি প্রমোদ স্পেশাল অর্ডার করে যুবকের চিকিৎসার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি পেয়েছে অসহায় পরিবারটি। যদিও হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই যুবক চিকিৎসাধীন। এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, হরিরামপুরের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি তথ্য নিয়ে যুবকের চিকিৎসার ব্যবস্থার বিষয়টি দেখব। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় ঘোষ বলেন, যুবককে আমাদের মেডিক্যাল টিম গিয়ে দেখে এসেছে। তারপর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগে যুবকের চিকিৎসা চলছে। এটুকুই আমি জানতাম।
যুবকের বাবা জয়নাল আবেদিন বলেন, ১৫ দিন আগে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা এসে ছেলের স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞাসা করে ভালো জায়গায় চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম সরকারিভাবে ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু হতাশা ছাড়া কিছু দেখছি না। শিরশি গ্রাম পঞ্চায়েতে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে গিয়েছিলাম। ছেলের চিকিৎসার কোনও সুরাহা হল কিনা, জানতে চেয়েছিলাম। কোনও উত্তর দিতে পারেননি। আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার কথা কেউ বলতে আসেনি। এদিকে ছেলের মানসিক বিকৃতি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার করে পাঁচ দিন আগে এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। অবস্থা একই রকম। নিরুপায় হয়েই তাই ছেলেকে লোহার বেড়ি পরিয়ে রেখেছি।