বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মৈত্রীর বন্ধন রাখী। হলুদ সুতোর ডোরে শুধু সম্পর্কই নয়, এবার প্রিয়জনের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তাও উঠে আসছে। শিলিগুড়ির এসএফ রোডের সোমানি কমপ্লেক্সের বাসিন্দা মীনা সোমানি এবার এমন রাখীই বানাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহেই রাখীবন্ধন উৎসব। কিন্তু করোনার থাবায় এবার সেই ছবিটা অনেকটাই বদলেছে। যদিও এসবের মধ্যে রাখী তৈরিতে খামতি নেই মীনাদেবীর। বাড়িতেই তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাখী তৈরি করছেন। সেই রাখীর কোনওটায় মাস্কের ব্যবহার, কোনওটায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, কোনওটা আবার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাঠ দেওয়া হচ্ছে।
মীনাদেবী বলেন, চারপাশে মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। কিন্তু এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা খুব কঠিন নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই এই রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমবে। কিন্তু এখনও অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন, রাস্তাঘাটে ঘুরছেন। অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মেনে হাটবাজার করছেন না। মানুষকে সচেতন করতে রাখীতে তাই আমি ‘স্টে হোম’, ‘ইউস স্যানিটাইজার, মাস্ক’ এমন সব বার্তা দিতে চেয়েছি।
দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে রাখী বানান মীনাদেবী। শিলিগুড়ি শহর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর তৈরি রাখীর কদর রয়েছে। তাঁর হাতে গড়া রাখীর দামও সাধারণের হাতের নাগালে থাকে। বাড়ির মহিলাদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে তিনি এখন রাখী তৈরি করছেন। করোনার আবহে এবার বাজারে বিক্রিবাটা তেমন না থাকলেও অনলাইনে তিনি রাখী বিক্রি করছেন। পাশাপাশি তাঁর ঘরেই রয়েছে স্যানিটাইজার। বাইরে থেকে কেউ এলে স্যানিটাইজ করে রাখী দেখানো ও বিক্রির কাজ চলছে।
ওই বাড়ির এক সদস্য মল্লিকা চাণ্ডক বলেন, ক্রেতারাও এই রাখী কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বোনেরাও তো চায় ভাইয়েরা সুস্থ থাক। এই পরিস্থিতিতে সকলের সুস্থতাও তো কাম্য। রাখীর মাধ্যমে প্রিয়জনদের ভালো থাকার কামনা যেমন করা হচ্ছে তেমনই তাঁদের সচেতন করার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। সচেতনতাই আমাদের মহামারীর কবল থেকে রক্ষা করতে পারে।