কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পতঙ্গবাহী রোগ রুখতে এবার আমরা অগ্রিম নামছি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ডেঙ্গু, জেই’র মতো পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু করতে চলেছি। অন্যান্য বছর মে মাস নাগাদ এই কাজ শুরু হয়। আশ করছি, এতে আমরা অনেকটাই সাফল্য পাব।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ জালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় মোট ৫৩৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। ২০২০ সালে এখনও পর্যন্ত একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে কোনও রোগীর মৃত্যুর খবর নেই। গতবছরে জাপানি এনসেফেলাইটিসে চারজন আক্রান্ত হন। তারমধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালে জেলায় কোনও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিল না। ২০১৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল চারজন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১৯ জনে। ২০১৬ জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৯ জন। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যাটি একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ২২৩-এ। কিন্তু ২০১৮ সালে আবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমে গিয়ে হয় ৬৪ জন। কিন্তু বিগত দিনের সমস্ত পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে এবার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫৩৯।
জেলায় ডেঙ্গু রুখতে অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করেছিল স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। গ্রামে গ্রামে ভিলেজ রিসোর্স পার্সন নিয়োগ করে এলাকা পরিষ্কার রাখা, গ্রামে গ্রামে ডেঙ্গু ও পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি, এলাকায় জল জমতে না দেওয়া সহ বিভিন্ন কর্মসূচি তারা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তার পরেও জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। ডেঙ্গু রুখতে এর আগে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় গাপ্পি মাছ ছেড়েছিল। ডেঙ্গু রুখতে জেলায় সচেতনতার কাজও চলে। কিন্তু তারপরেও জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাতে রাশ টানতেই এই বছরের শুরু থেকেই ময়দানে নামছে স্বাস্থ্যদপ্তর।