সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, পতঙ্গবাহিত রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় আগাম প্রতিরোধ। সেই কাজে একটি সংগঠিত পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। ইংলিশবাজার পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার শুভময় বসু বলেন, আমরা জেলাশাসকের চিঠি পেয়েছি। আগামী ১৪ মে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে পুরসভার প্রতিনিধিরা থাকবেন। আমাদের কিছু কথাও আমরা প্রশাসনকে বলব। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, প্রশাসনের পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে বৈঠকের নির্দেশিকা এসেছে। আমরা সেখানে অবশ্যই থাকব। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহজাহান সিরাজ বলেন, কোনও সন্দেহ নেই, আগাম সতর্কতাই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের মুখ্য পন্থা। জেলাজুড়ে একটি সংগঠিত প্রতিরোধ পরিকল্পনা থাকলে তা আখেরে সকলের জন্যেই কার্যকরী প্রমাণ হবে।
গত কয়েকবছর ধরেই মালদহের ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভা ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত নানা রোগের তীব্র প্রকোপ দেখা গিয়েছে। মশাবাহিত রোগে বেশকিছু মৃত্যুর ঘটনাও এই দুই পুরসভা এলাকাতে ঘটেছে। এবারও ভরা শীতে দু’টি পুরসভা এলাকাতেই মশার দাপটে আমজনতাকে নাস্তনাবুদ হতে হয়েছে। আর গরম পড়তেই মশার দাপট ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকায় চরমে উঠেছে। কিন্তু অভিযোগ দুই পুরসভার তরফেই এনিয়ে কোনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে মশার বংশবিস্তারে আরও সহযোগিতা করছে। মালদহের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও পরিস্থিতি কিছু ভিন্ন নয়। সেখানেও মশার দাপট ঊর্ধ্বমুখী। এনিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্প্রতি নাগরিক সমাজে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি, ২০১৮ সালে মালদহ জেলা প্রশাসন পতঙ্গবাহিত রোগ মরশুমের মুখেই এরসঙ্গে জড়িত সমস্ত দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি জয়েন্ট অ্যাকশন ফোর্স তৈরি করেছিল। প্রশাসনের সেই উদ্যোগের জেরে পতঙ্গবাহিত রোগ ছড়ানো অনেকটাই রুখে দেওয়া গিয়েছিল। একদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যেগের অভাব অন্যদিকে গতবারের পরিকল্পনাগত সাফল্যের কারণে এবারও জেলা প্রশাসন তৎপর হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পতঙ্গবাহিত রোগ মরশুমের প্রাক্কালেই একটি জয়েন্ট অ্যাকশন ফোর্স তৈরি করে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে চাইছেন জেলাশাসক। সেই উদ্দেশ্যেই ১৪ মে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠককে মালদহের দু’টি পুরসভার কর্তাদের যেমন ডাকা হয়েছে তেমনি সমস্ত ব্লকের বিডিওদের ডাকা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যপ্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্যপ্রশাসনের কর্তাদেরও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। মশার প্রার্দুভাব বোঝার জন্যে এন্টামোলজিস্ট বা পতঙ্গবিশারদদের একটি দলকে সম্প্রতি রাজ্য সরকার মালদহে নিযুক্ত করেছিল। সেই পতঙ্গ বিশারদদেরও ডাকা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি যাচাই করে একটি সার্বিক প্রতিরাধে ব্যবস্থা ওই বৈঠক থেকে তৈরি করা হবে।